গত ১০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগের তিন সপ্তাহ না যেতেই এবার ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে মাঈনুল হাসান ভূঁইয়া।
মাঈনুল হাসান তুষার বলেন, ‘দল বর্তমানে উনাকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দলীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে উনাকে ডাকছেন না। কিছু জিজ্ঞেস করছেন না। নিজ উপজেলা কমিটি গঠনের ব্যাপারেও তার বাবার পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে প্রতিবেশীর ঘরে চুরি: ১৪লাখ টাকাসহ সালিশদার গ্রেফতার
দলীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে কল করলেও ধরেন না। দলের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে, উনার আর প্রয়োজন নেই। তাই তিনি নিরিবিলি থাকাটাই শ্রেয় মনে করেছেন। পরিবারসহ সকল আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করেই চেয়ারপারসনের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।’
জানা যায়, ১৯৭৯ সালে প্রথম তৎকালীন কুমিল্লা-১ (নাসিরনগর ও সরাইলের একাংশ) ও বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ওই সময়ে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি ছিলেন। দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। এরপর ১৯৯১ সালে এবং ১৯৯৬ সালের দুটি সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ইসলামী ঐক্যজোটের তৎকালীন মহাসচিব মুফতি ফজলুল হক আমিনীকে আসনটি ছেড়ে দেন আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। ওই সময়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার গঠন করলে তাকে টেকনোক্র্যাট প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
ইবাংলা/জেএন/৩১ ডিসেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.