বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে তার জন্মস্থান বামনায় এনে জানাযা না দেওয়ায় সমগ্র বরগুনাবাসি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সোমবার বিকেলে বরগুনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মাহবুবুল আলম ফারুক মোল্লা দলীয় কার্যালয়ে তার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল করেছেন।
আরও পড়ুন…বামনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী রহিম হাত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
সোমবার (২ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ৩টায় রাজধানীর আজিমপুর করবস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে জোহরের নামাজের পর খিলগাঁও চৌধুরীপাড়া মাটির মসজিদে তার সর্বশেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।তার আগে রোববার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৃতীয় এবং হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া রাজধানীর আরো দুটি স্থানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় খন্দকার মাহবুব হোসেনের। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের জন্ম ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ। তার পৈতৃক বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায়। তিনি ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ওই বছরের ২০ অক্টোবর হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।
১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি চার দফায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দু’বার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে লড়তেন মাহবুব হোসেন।
ইবাংলা/জেএন/২ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.