তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কর্মীদের সান্ত্বনা দিতেই বিএনপি নেতাদের এত হাঁকডাক। আসলে কর্মীদেরকে সান্তনা দেওয়ার জন্যই বড় গলায় কথা বলেন। বিএনপির এই হাঁকডাক আসলে খালি কলসি বেশি বাজার মতো, তার চেয়ে বেশি কিছু না। তারা কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি, পারবেও না।’
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ।
আরও পড়ুন…মির্জা ফখরুল-আব্বাসের জামিন শুনানি মঙ্গলবার
বিএনপি নেতাদের মুখে বারবার সরকারের পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির এসব কথা গৎবাঁধা। আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার কয়েক মাস পর থেকেই এ কথাগুলো বলা শুরু করেছে। প্রকৃতপক্ষে তাদের নেতাকর্মীরাই তাদের সঙ্গে নেই। ১০ ডিসেম্বর তারা যেভাবে হাঁকডাক করেছিল, এরপর যখন তাদের সমাবেশে ১০ লাখ মানুষের কথা বলে ৫০ হাজারের মতো মানুষ হলো এরপর থেকে বিএনপির নেতারা তাদের কর্মীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। এখন সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, তাদের কর্মীরাও তাদের সঙ্গে নেই।’
‘বিশ্বমন্দা পরিস্থিতির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, আজ সমগ্র পৃথিবী তার প্রশংসা করছে, দেশের জনগণও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে, সরকারের সঙ্গে আছে’, বলেন মন্ত্রী।
এর আগে সৈয়দ আশরাফ স্মরণে তিনি বলেন, ‘আজ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তিনি জাতীয় চার নেতার অন্যতম এবং বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যিনি ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন সেই সৈয়দ নজরুল ইসলামের সুযোগ্য পুত্র।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দু’বারের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তার মৃত্যুটা আমাদের কাছে ছিল অপ্রত্যাশিত, অল্প বয়সেই তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি একজন সজ্জন পরিশীলিত মানুষ ছিলেন। লোভ-লালসার পেছনে তিনি কখনো ছোটেননি। রাজনীতিকে ব্রত হিসেবেই নিয়েছিলেন। তার কাছে নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের অনেক কিছু শেখার আছে। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি, সৈয়দ আশরাফের ছোট বোন সৈয়দা জাকিয়া বারী লিপি এমপি ও পরিবারের সদস্যরা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নেন।
ইবাংলা/জেএন/৩ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.