বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, দেশের এক চতুর্থাংশ মানুষই হাইপারটেনশনে ভোগেন। প্রত্যেককেই হাইপারটেনশন যেন না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। হাইপারটেনশন হলে হার্ট অ্যাটাক হবে, কার্ডিওমাইয়োপ্যাথি হবে, নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডার হয়ে স্ট্রোক হবে, চোখে রেটিনোপ্যাথি হবে, নেত্রোপ্যাথি হবে।
রোববার (৮ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লক মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল সাব-কমিটির আয়োজনে হাইপারটেনশন বিষয়ক মাসিক সেন্ট্রাল সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হৃদরোগ বিভাগের অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তাফা জামান ও শিশু নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রনজিত কুমার রায়।
আরও পড়ুন…যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে স্থায়ী অংশীদারিত্বের গুরুত্ব দেয়: বাইডেন
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সেন্ট্রাল সেমিনারে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করে থাকি যা সবার জন্য প্রযোজ্য। আজকের বিষয় হাইপারটেনশন। হাইপারটেনশন নিয়ে জানাশোনা সব বিভাগেরই লাগে। আমাদের এখানে ৫৭টি বিভাগের সবারই এ নিয়ে জ্ঞান থাকতে হবে।
উপাচার্য বলেন, অপারেশন করার আগে ব্লাড প্রেসার বেশি থাকলে অপারেশন করা যায় না। যে রোগীকে ট্রিটমেন্ট দিয়ে যাচ্ছেন, সে রোগীকে কত পর্যন্ত ব্লাড প্রেসার রাখা লাগবে তা অবশ্যই চিকিৎসককে জানতে হবে। যারা মোটা তাদের প্রেসার, স্মোকারদের প্রেসার একরকম হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা বয়স্ক তাদের অবশ্যই নিয়মিত ব্লাড প্রেসার মাপতে হবে। যাদের বয়স তিন থেকে ১০ বছর তাদের ব্লাড প্রেসার মাপতে হবে। যারা মোটা তাদের নিয়মিত প্রেসার চেক আপ করতে হবে। যারা সুগার খান তারা মাঝে মাঝে প্রেসার চেক আপ করতে হবে। কাঁচা লবণ খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, ইউজিসি অধ্যাপক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সজলকৃষ্ণ ব্যানার্জী।
আরও পড়ুন…ভালো মানুষ রাজনীতিকে উপযুক্ত মনে করে না: কাদের
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল সাব কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. বেলায়েত হোসেন সিদ্দিকী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সেন্ট্রাল সাব কমিটির সদস্য সচিব নিউরোলজি বিভাগের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সবুজ ও রেসপেরিটোরি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সম্প্রীতি ইসলাম। সেমিনারে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, কনসালটেন্ট, চিকিৎসক ও রেসিডিন্টরা উপস্থিত ছিলেন।
ইবাংলা/জেএন/৮ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.