সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা। জেঁকে বসেছে শীত। এর মধ্যেই টঙ্গীর তুরাগতীরে ঢল নেমেছে মুসল্লিদের। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বাদ ফজর উর্দুতে পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হকের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমার প্রথম পর্ব। এ বয়ান বাংলাসহ কয়েকটি ভাষায় অনুবাদ করে শুনানো হয়।।গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা।
আরও পড়ুন…হাড়কাঁপানো শীতের মধ্যেও পরিপূর্ণ ইজতেমা মাঠ
এরপর বাদ জুমা বয়ান করবেন মাওলানা ইসমাইল গুদর, বাদ আসর মাওলানা জুবায়ের আহমদ ও বাদ মাগরিব মাওলানা আহমদ লাট বয়ান করবেন। এসব বয়ানের বাংলা অনুবাদ করবেন বাংলাদেশের মাওলানা ওমর ফারুক।
শুক্রবার জুমাবার হওয়ায় ইজতেমা ময়দানে একসাথে লাখো মুসল্লি জুমার নামাজ আদায় করবেন।বৃহত্তর এ জুমায় শরিক হতে গাজীপুর, ঢাকাসহ আশপাশের জেলা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানের দিকে আসতে শুরু করেছেন।বেলা দেড়টার দিকে জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। নামাজে ইমামতি করবেন মাওলানা জুবায়ের আহমদ।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যেই মুসল্লিদের পদচারণায় পূর্ণ হয়ে যায় ইজতেমা মাঠ। ইজতেমা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
ইজতেমা উপলক্ষে ১৬৫ একর জমিতে শামিয়ানা টানিয়ে মুসল্লিদের জন্য জায়গা করা হয়েছে। ময়দানের উত্তর-পশ্চিম পাশে বিদেশি মুসল্লিদের কামরার পাশে করা হয়েছে মূল মঞ্চ। সেখানে বৃহস্পতিবার বাদ জোহর মাওলানা রবিউল হক ইমান ও আমলের বয়ান করেন।
আরও পড়ুন…সুবর্ণচরে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক প্রাথমিক বিদ্যালয় উদ্বোধন
করোনা মহামারি ও অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে দুই বছর হয়নি ইজতেমা। এবার মুসল্লিদের জমায়েতে আগের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সফল করতে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ।
ইবাংলা/জেএন/১৩ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.