উন্নত মানবিক রাষ্ট্র গঠন ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদের নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।চতুর্থ শিল্পবিপ্লব এখন একটি বাস্তবতা। এটিকে আর অস্বীকার করার উপায় নেই।
আমরা কেমন অনুভব করি, কীভাবে কাজ করি, কীভাবে থাকি, ভ্রমণ করি—সবকিছুই বদলে যাবে। প্রথম শিল্পবিপ্লব হলো বাষ্পীয় ইঞ্জিন নিয়ে, দ্বিতীয় বিপ্লবটি বিদ্যুতের, তৃতীয়টি ইন্টারনেট ও কম্পিউটারবিষয়ক। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ঘটছে ইন্টারনেটের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তা যোগের মাধ্যমে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে ‘বিজিএপিএমইএ এক্সপোর্ট ট্রফি ২০২৩’ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বমন্দার মধ্যেও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনীতির চাকা সচল রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে গার্মেন্টস ও অ্যাকসেসরিজ শিল্প বিশাল ভূমিকা রাখছে। স্বাধীনতার সময় দেশের মোট জাতীয় উৎপাদনে শিল্পখাতের অবদান ছিল ৫ থেকে ৬ শতাংশ। সেটি এখন প্রায় ৩৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এখানেও তৈরি পোশাক ও সহযোগী শিল্পের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের মহামারির সময় সমগ্র বিশ্ব যখন থমকে গিয়েছিল, তখনও শেখ হাসিনার পরিকল্পনা ও কার্যকর প্রণোদনা প্যাকেজের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল ছিল। সেসময়ে আমরা মাথাপিছু আয়ে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছি।
আরও পড়ুন…বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে বেসরকারি খাত
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৪ বছর আগে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের ৬০তম মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দেশ। আজ আমরা ৩৫তম বৃহৎ জিডিপির দেশ। আর পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি-পিপিপিতে বিশ্বের ৩১তম দেশ।
ইবাংলা/জেএন/১৪ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.