সম্প্রতি বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর সহিংসতার ঘটনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘এটি খুব দুঃখজনক যে, এর পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে। আগামী দুবছর পর আমাদের নির্বাচন হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রের শিকার আমরা হব।’ বাংলাদেশে কোনো ধর্মের-বর্ণের মানুষের মধ্যে পার্থক্য করা হয় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ শনিবার সকালে সিলেট ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (ইমজা) কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের সব শ্রেণির জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এবং এই মঙ্গল অর্জনের জন্য সবার সহযোগিতার সক্রিয় উদ্যোগ দরকার।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এত ভালো কাজ হচ্ছে দেশের সব শ্রেণির জনগণের জন্য, কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য নয়। কিন্তু কিছু দুষ্টু লোক সেগুলোকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার এবং এই দুষ্কৃতকারীদের জন্য কাজ করছে।’
ড. মোমেন বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশে একটা ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এবং বাংলাদেশ বোধ হয় ধর্মীয় সম্প্রীতিতে পৃথিবীর মধ্যে এক নম্বর। এখানে কোনো ধর্মের-বর্ণের মানুষের মধ্যে পার্থক্য করা হয় না। সবার সমান অধিকার আমাদের রাষ্ট্র দেয়। যারা অন্য ধর্মের লোক আছেন, তারা আমাদের দেশে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন, তাঁরা অন্য কোনো দেশে সে সুযোগ সুবিধা পান না। আপনারা কি জানেন—ভারতে পূজা করলে সরকার টাকা দেয়? একমাত্র বাংলাদেশ—যেখানে আমরা সাহায্য করি। সব ক্ষেত্রে আমরা সাহায্য করি। এরপর এ ধরনের ঘটনা ঘটলে খুবই দুঃখ লাগে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করে বলেন, ‘আমার বিশ্বাস—আগামীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি—সবার ওপরে মানুষ সত্য, তাহার ওপরে নাই। এটা আমরা মগজে বিশ্বাস করি। এবং সে ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়তে চেষ্টা করে গেছেন। আজ আমাদের রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাও একই ব্রত নিয়ে একটি অসাম্প্রদায়িক ও স্থিতিশীল অর্থনীতি গড়ার জন্য কাজ করছেন। যে ঘটনা ঘটেছে, এটাতে সবাইকে শাস্তি দেওয়া হবে। এটা নিয়ে আর বেশি বাড়াবাড়ি না করাই বোধ হয় ভালো হবে।’
এ ঘটনায় ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অ্যাকশন নিয়েছেন, সেগুলো খুব ভালো অ্যাকশন। হ্যাঁ, ওখানে কিছু লোক বানোয়াট প্রচারণা করছে, সেগুলো দুঃখজনক।’