গ্রাম বাংলার ঘোড়দৌড় দেখতে ধনবাড়ীতে হাজারো মানুষের ঢল

হাবিবুর রহমান, মধুপুর (টাঙ্গাইল)

আবহমান গ্রাম বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্য ঘোড় দৌড়। গ্রামীণ সংস্কৃতির মধ্যে ঘোড় দৌড় অন্যতম। শীত কালে মাঠের ধান কাটা শেষে যখন মাঠ ঘাট শুকিয়ে যায়। তখন চারদিকে শুরু হয় নানা উৎসব। সাংস্কৃতিক পর্বের মধ্যে ঘোড় দৌড় গ্রামের মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয়। সব বয়সী মানুষেরা পরিবার পরিজন নিয়ে দেখতে এ ঘোড় দৌড়।

কুয়াশায় ঢেকে আছে শীতের রোদ। হিম হিম শীত। সূর্যের দেখা পাওয়া যাচ্চিল না। বিশাল মাঠ। বুরো ধান লাগানোর অপেক্ষা। ঠিক সেই সময়ে স্থানীয় মানুষের আয়োজনে প্রতি বছরের মতো এবার আয়োজন করে ঘোড় দৌড় । গ্রামীণ বিনোদনের এ ঘোড় দৌড় দেখতে শীতের পড়ন্ত বিকেলে হাজারো মানুষের ঢল নামে।

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর বীরতারা ইউনিয়নের পাটদহে হাজারো মানুষ এ ঘোড় দৌড় উপভোগ করে। আশ পাশের কয়েক গ্রামে আত্মীয় স্বজনও আসে ঘোড় দৌড় দেখতে। বাড়ি বাড়ি জমে উঠে পিঠা পুলির উৎসব। হাজার হাজার নারী- পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সী শিশু,কিশোর আবাল বৃদ্ধ বনিতা মাঠে জড়ো হতে থাকেন সকাল থেকে ।

গত রোবাবর ১৫ জানুয়ারী বিকালে ধনবাড়ী উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের কয়া পাটাদহ গ্রামের অনুষ্ঠিত হয় এ ঘোড় দৌড়। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বিভিন্ন জেলা থেকে ঘোড়া নিয়ে সোয়ারি ও মালিকরা। দাপট, দাবড়, কদমসহ ৫টি দলে প্রতিযোগিতায় দৌড় অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন…হজের খরচ কমলো ৩০ শতাংশ

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের মূল প্রবেশ পথ তোরণে সাঁজানো হয়েছে । প্রতিযোগিতা শুরুর আগে থেকেই মাঠের চারদিকে হাজারো দর্শকের উচ্ছ্বাসিত। তাদের মুহু মুহু করতালি আর উল্লাস পুরো মাঠ আনন্দে ভরে উঠে। উপভোগ করেন সব বয়সী মানুষেরা। এ যেন চিরায়ত বাঙালির চিরচেনা ঐতিহ্য ।

ঘোড় দৌড় দেখতে আসা পালাশ ইসলাম বলেন,‘বর্তমানে ঘোড় দৌড় গ্রামীণ ঐতিহ্য। প্রযুুক্তির দাপটে এ বিনোদন হারিয়ে যেতে বসেছ। ঘোড় দৌড় ভালো লাগে। তিনি প্রতি বছর ঘোড় দৌড় দেখতে আসে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।

এ সময় ধনবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মীর ফারুখ আহমেদ ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন, ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুল হুদা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারাহ ফাতিহা তাকমিলা, বীরতারা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক, সধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক প্রমূখ।

আরও পড়ুন…স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে হাইকোর্টের তলব

প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে জামালপুর মাদারগঞ্জের আলহাজ নজরুল ইসলাম, দ্বিতীয় অর্জন করে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর আবু সামা।

ইবাংলা/জেএন/১৭ জানুয়ারি, ২০২৩

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us