নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরক্লার্ক ইউনিয়নের পশ্চিম উরিরচর গ্রাম থেকে রাবেয়া বেগম (১৮) নামের এক কিশোরীর লাশ দাফনের ৫৪ দিন পর উত্তোলন করেছে পুলিশ। রাবেয়াকে হত্যার অভিযোগো তার পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা দায়েরের পর মৃতদেহটি উত্তোলন করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অশোক বিক্রম চাকমা ও চরজব্বার থানা পুলিশের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়। এর আগে, গত ২৩ ডিসেম্বর নিহতের ভাই হাদিছ বাদ হয়ে প্রধান অভিযুক্ত আবদুল মন্নান সহ ৩জনকে আসামি করে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাড়িতে একা থাকার সুবাদে প্রতিবেশী আবদুল মন্নান বিভিন্ন ভাবে রাবেয়াকে উতক্ত্য করত। এরই মধ্যে সে রাবেয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় পরিবারের লোকজনের অজান্তে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রাবেয়ার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে।
শারীরিক সম্পর্কের পর আবদুল মন্নানকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সে তালবাহানা শুরু করে এবং রাবেয়াকে বিয়ে করারা বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করে। গত বছরের ২০২২ সালের ৩০ নভেম্বর বিকেলে আবদুল মান্নানের সহযোগী আবুল কালাম ও ইমাম উদ্দিন বাবর বাড়িতে গিয়ে রাবেয়াকে হুমকি ধমকি দেয় এবং আবদুল মান্নানকে বিয়ে করার বিষয়টি ভূলে যেতে বলে।
এসব বিষয়ে কাউকে জানালে তাকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দিয়ে আসে। এ ঘটনায় মানুষিকভাবে ভেঙে পড়ে ওইরাতে বসত ঘরে বিষ পানে আত্মহত্যা করে রাবেয়া। আসামিদের অব্যহত হুমকিতে এবং তাদের দারা প্রভাবিত হয়ে সে আত্মহত্যা করেছে অভিযোগ এনে এবং সুষ্ঠু বিচার পাওয়ার আশায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে কিশোরীর লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ইবাংলা/জেএন/২৪ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.