পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পেশওয়ারের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার একদিন পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯০ জনে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালেও বেশ কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার হয়। বিস্ফোরণে ভবনটির একাংশ ধসে পড়ে। এখনও সেখানে চলছে উদ্ধার কাজ।সোমবার (৩০ জানুয়ারি) পেশওয়ারের পুলিশ লাইনস এলাকার একটি মসজিদে ভয়াবহ এ হামলার ঘটনা ঘটে।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জোহরের নামাজর সময় ওই হামলাকারী পুলিশের তল্লাশি চৌকি ফাঁকি দিয়ে মসজিদের সামনের কাতারে নামাজের জন্য দাঁড়ায়। এরপর বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।
হামলায় আহত হয়েছেন আরও একশজন। দেশটির পুলিশ বলছে, সোমবার দুপুর ১টার দিকে মসজিদের সেন্ট্রাল হলে বিস্ফোরণটি ঘটে। মুসল্লিরা জোহরের নামাজ আদায় করছিলেন এ সময়।
উদ্ধারকাজের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১৭টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে মঙ্গলবার সকালে। একজন আহত ব্যক্তিকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, আত্মঘাতী হামলাকারী জোহরের নামাজের সময় সামনের সারিতে ছিলেন। পুলিশ আরও জানায়, মসজিদের ইমাম সাহেবজাদা নূর উল আমিনও বিস্ফোরণে মারা গেছেন।
এদিকে, পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) তাদের একজন কমান্ডারের প্রাথমিক দাবির পরে হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী মুহাম্মদ আজম খান এ ঘটনায় মঙ্গলবার একদিনের শোক ঘোষণা করেছেন। প্রদেশজুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকছে মঙ্গলবার।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পেশওয়ারে যান সেদিনই। নগরীর লেডি রিডিং হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান তিনি। তার সঙ্গে ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির, প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ, তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ।
আরও পড়ুন…টাকার অভাব’, এডিপি বাস্তবায়নে কচ্ছপগতি
পেশওয়ারের পুলিশ প্রধান মুহাম্মাদ ইজাজ খান স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, হামলার ঘটনার সময় ওই এলাকায় ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশ কর্মকর্তা দায়িত্বরত ছিলেন। আত্মঘাতী হামলা ঘিরে সব ধরনের ইস্যু বিশ্লেষণ করে দেখছে তদন্তকারী টিম।
ইবাংলা/জেএন/৩১ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.