পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যনার্জি মন্তব্য করেছেন, ভারতীয় লোকসভায় সদ্য পেশ করা বাজেটকে কটাক্ষ করে ‘সুবিধাবাদী বাজেট’। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বীরভূম জেলার সভা থেকে মমতা বলেন, এ বাজেটে দরিদ্ররা বঞ্চিত হয়েছে, আর সমাজের একাংশ অধিক লাভবান হয়েছে।
‘তাছাড়া এতে বেকারত্ব নিয়ে ও ১০০ দিনের কাজ নিয়ে কোনো কথা বলা হয়নি। কাদের জন্য এ বাজেট? এটি কখনোই ভবিষ্যৎবাদী নয়, সুবিধাবাদী।’
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, বাজেট নাকি দারুন হয়েছে। বেকারদের জন্য কোনো ঘোষণা নেই। সব বেসরকারিকরণ হচ্ছে, ১০০ দিনের কাজের টাকা বাড়েনি। আমাদের টাকা তোমরা আটকে রাখো কি করে? গ্যাসসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। কী করে দারুণ বাজেট হয় এটি?’
কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক প্রকল্পের বিষয়েও আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেটে ১০০ দিনের জন্য বরাদ্দের অর্থ কমেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল ৮১ লাখ স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করবে, কিন্তু এখন পর্যন্ত করেনি। তবে রাজ্য সরকার তা করে দেখিয়েছে।
‘আমাদের সরকারের আগে রাজ্যে এক লাখ স্বনির্ভর গোষ্ঠী ছিল। এখন সে সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখে। কেন্দ্রীয় সরকার এ হিসাব জুড়েই নির্দিষ্ট সংখ্যক ঘোষণা করেছে। কেন্দ্র স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ক্রেডিট করতে দিতে চায় না।’
ইন্টিগ্রেটেড চাইল্ড ডেভলপমেন্ট সার্ভিসেসের (আইসিডিএস) জন্য কি করেছে কেন্দ্র সরকার? বাজেটের নামে দরিদ্রদের বঞ্চিত করা হয়েছে, একাংশ হয়েছে লাভবান। ট্যাক্স ছাড় দেওয়ার নামে যা করা হয়েছে, তাতে মুদ্রাস্ফীতি এমনভাবে বেড়েছে যে, পুরোটাই লোকসান হবে।
১০০ বছর পূরণের কথা মাথায় রেখে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভারতের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। মোট সাতটি উদ্দেশ্যের ওপর ভিত্তি করে এ বাজেট পেশ করা হয়।
আরও পড়ুন…বিএনপি হত্যা ও মিথ্যাচারের উপর সৃষ্টি হয়েছে: শেখ পরশ
বাজেট বক্তৃতায় নির্মলা বলেন, ২০৪৭ সাল পর্যন্ত সপ্তর্ষির মতো ভারতকে পথ দেখাবে এ বাজেটের সাতটি উদ্দেশ্য। ভারতের সব মানুষকে একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, উন্নতির শেষ সীমা পর্যন্ত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই বাজেট।
ইবাংলা/ জেএন/ ১ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.