আজ বাংলাদেশ দলের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড
ডেক্স রির্পোট
এমন পরিস্থিতিতে আজ (বুধবার) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আরেক শহর আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে মাঠের লড়াই শুরু স্থানীয় সময় দুপুর দুইটায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা)।
এই মাঠে এর আগে কখনো টি-টোয়েন্টি খেলেনি বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে তিনটি ওয়ানডে খেলেছে। সেখানে অবশ্য বেশ স্বস্তিই দিচ্ছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের। দুটি জয়ের বিপরীতে একটিতে হার। তিন বছর পর এই মাঠে উড়তে যাচ্ছে লাল-সবুজের পতাকা। যদিও ম্যাচের আগের দিন মাঠটিতে পা পড়েনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের।
মঙ্গলবার দুবাইতেই ছিলেন মাহমুদউল্লাহরা। প্রায় ১৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দুবাইয়ে যাওয়া। আবার ফিরে আসা-ম্যাচের আগের দিন এমন বাড়তি চাপ নিতে চায়নি দল। এ কারণেই দুবাই স্পোটস সিটির আইসিসি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুশীলন করেছেন রিয়াদরা।
এর আগে এই ম্যাচের সংবাদ সম্মেলনেও দেখা মেলেনি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলার আগে মুখোমুখি হলেন বোলিং কোচ ওটিস গিবসন। নানা প্রসঙ্গের সঙ্গে উঠে আসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭১ রান তুলে হারের প্রসঙ্গটাও। ম্যাচটিতে দুটি সহজ ক্যাচ ফেলে দেন লিটন দাস। সেই মিসের মাশুল গুণতে হয় দলকে।
অনুশীলনের সময়ও ফিল্ডিংয়ে আরেকটু বেশি সময় দিল দল। মঙ্গলবার আইসিসি একাডেমি গ্রাউন্ডে খোদ রাসেল ডমিঙ্গো তার শিষ্যদের বোলিং অনুশীলন করালেন। তার আগেই গিবসন বলছিলেন, ‘দেখুন, প্রতিটি ক্রিকেট ম্যাচে একটি বা দুটি ক্যাচ হাত থেকে ফসকে যায়। অবশ্যই যখন ক্যাচ ছাড়া ম্যাচের ফলে ভূমিকা রাখে এটাকে বেশি বড় করে দেখা হয়। আমরা সব সময়ই ক্যাচ নিয়ে প্রচুর অনুশীলন করি। তবে ছেলেরা যখন মাঠে চাপের মধ্যে থাকে, ক্যাচ ছাড়ার মতো ভুলগুলো হয়ে যায়।’
সেই ভুল এবার কাটিয়ে উঠতে চায় দল। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচটি খেলার আগে বাংলাদেশ শিবিরে দুঃসংবাদ। আগের রাতেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের জায়গায় দলে এসেছেন রুবেল হোসেন। অথচ ইংলিশদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দলের পরিকল্পনায় ছিলেন সাইফউদ্দিন।
এবার তাহলে একাদশটা কেমন হবে টাইগারদের? বাংলাদেশের বোলিং কোচ ওটিস গিবসন বলছিলেন, ‘দেখুন, আমরা আগে কন্ডিশন দেখব। তবে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই যেটা বলছি, আমাদের হাতে সবকিছুই আছে। আমাদের মুস্তাফিজের স্কিল ও কাটার আছে। অধিনায়ক, কোচ ও নির্বাচক প্যানেলের প্রধান এই সব বিকল্প দেখে ম্যাচের জন্য সম্ভাব্য সেরাটা বেছে নিবেন।’
ঠিক এ অবস্থায় আবুধাবির উইকেটে বাড়তি একজন পেসার খেলাতে পারে বাংলাদেশ দল। তাসকিন আহমেদের ফের একাদশে জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনাও আছে। অবশ্য ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল আগের ম্যাচে স্পিনে বাজিমাত করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো শক্তিশালী দলকে অলআউট করেছে মাত্র ৫৫ রানে। আদিল রশিদ আর মঈন আলি রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। এ কথা এখন স্পষ্ট শ্রীলঙ্কার চেয়েও বড় পরীক্ষা সামনে বাংলাদেশের।
প্রতিপক্ষ তো আছেই, নিজেদের সমস্যার শেষ নেই। চারপাশ থেকে চাপ। সেই চাপ কাটিয়ে নতু সূর্য উঠতে পারে একটা জয়ে। মাহমুদউল্লাহরা জানেন বুধবার হারলে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে উঠার পথটা কঠিন হয়ে যাবে। সঙ্গে সমালোচনার তুমুল ঝড়টাও সামাল দিতে হবে তাদের।
কিন্তু অনেকেই তো অনেক কিছু জানেন। কাজের কাজটা তো সবাই করতে পারেন না। সমালোচনা, বিতর্ক কিংবা অভিমান। পেশাদারি ক্রিকেটে, বিশেষত টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির দুই দশক পর এসে এসবের মূল্য কতখানি; প্রশ্ন আছে তা নিয়ে। তবে যা কিছুই হোক, ‘দেশের ক্রিকেটের জন্যই হচ্ছে’ বলে দাবি সব পক্ষের। আপাতত ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেশের ক্রিকেটটা আবার ‘ক্রিকেটে’ ফিরে আসলেই হয়। মাহমুদউল্লাহর দল নিশ্চয়ই সেটিই চাইবে!