মৃত্যু অবধারিত বিষয়। কেউ মৃত্যু থেকে রেহাই পায়নি, পাবেও না। আল্লাহ তাআলার হুকুমে দুনিয়ার বন্ধন ছেড়ে কাউকে না-ফেরার দেশে আগে চলে যেতে হয়। যে তার প্রিয় মানুষটিকে হারায়, তার বিরহ-যাতনা ও কষ্টের সীমা থাকে না। তবুও আল্লাহর সিদ্ধান্তের ওপর তাকে ধৈর্য ধরতে হয়। এই অবস্থায় শেষ দেখাটি দেখার জন্য ছটফট করে স্বজনহারা মানুষটি। কিন্তু শেষবারের মতো একপলক দেখার সুযোগ সবার হয় না।
কারণ আমাদের সমাজে একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে, স্বামী বা স্ত্রী কেউ মারা গেলে অপরের জন্য তালাক হয়ে যায়! তাই তাকে দেখতে দেওয়া নাজায়েজ! অথচ এটি একটি ভুল ধারণা। বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী, স্বামীর জন্য তার মৃত স্ত্রীর চেহারা দেখা জায়েজ। সুতরাং মৃত স্ত্রীর চেহারা দেখাকে হারাম মনে করা ঠিক নয়। কিন্তু মৃত স্ত্রীকে স্পর্শ করা, গোসল দেওয়া জায়েজ নেই। (ইবনে মাজাহ: ১৪৬৫, বায়হাকি, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আছার: ২১৫৭)
উল্লেখ্য, মহানবী (স.) মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফন দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) আলী রা.-কে লক্ষ্য করে বলেন, ‘হে আলী! তিনটি জিনিসের ক্ষেত্রে বিলম্ব করবে না। ১. নামাজের যখন সময় আসবে তখন নামাজ আদায় করা থেকে দেরি করবে না। ২. মৃত ব্যক্তির জানাজা যখন উপস্থিত হবে তখন কাফন-দাফন সম্পন্ন করতে দেরি করবে না। ৩. কোন অবিবাহিতা মেয়ের জন্য যখন কোনো উপযুক্ত পাত্র পাবে তখন তাকে পাত্রস্থ করা থেকে বিলম্ব করবে না।’ (তিরমিজি ১/২০৬)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রত্যেকটি বিষয়ে সুন্নাহর অনুসরণ করার তাওফিক দান করুন। কোরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.