বিশ্বকাপ জয়ের পর থ্রি-স্টার সম্বলিত জার্সি গায়ে এই প্রথম মাঠে নামলেন আর্জেন্টিনা দল। প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পানামা। প্রথমার্ধে গোল শূন্য থেকে ম্যাচের শেষদিকে ৭৮ মিনিটে প্রথম গোলে দেখা পায় আলবিসেলেস্তিরা। পানামার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ের ফল ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু শুধু ওই বাঁধভাঙা উদযাপন। যেখানে সামিল ছিলেন দর্শক-সমর্থক থেকে শুরু করে, আর্জেন্টিনার ফুটবলার, কোচিং স্টাফ, অ্যাসোসিয়েশনের কর্তা থেকে শুরু করে তাদের পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন… ১০ উইকেটের রেকর্ড গড়া জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের
মাঠে ঢুকতে পারলেন কেবল ৮৪ হাজার দর্শকই। ম্যাচ শুরুর প্রায় ৫ ঘণ্টা আগে খুলে দেওয়া হয় স্টেডিয়ামের প্রবেশদ্বার। সঙ্গে সঙ্গে কানায় কানায় পূর্ণ মনুমেন্টালের গ্যালারি। সবকিছুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের দেখতে, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বরণ করে নিতে।
দর্শকরা মূলত খেলা দেখতে নয়, এসেছিলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের একনজর দেখতে। তাদের উদযাপনের সঙ্গী হতে। ইতিহাসের সাক্ষী হতে। মেসিরা টানেল দিয়ে মাঠে ঢুকতেই তাই কোলাহলে ফেটে পড়ে গ্যালারি উপস্থিত হাজারো আলবিসেলেস্তে। অনেক ফুটবলারই সন্তানদের নিয়ে এসেছিলেন মাঠে। ডাগ আউটে কোচ লিওনেল স্কালোনির সঙ্গেও ছিল পরিবারের সদস্য।
আবেগে ভেসে যাওয়ার সন্ধ্যায় আর্জেন্টিনা পানামা নিয়ে যে খুব একটা ভাবেনি তার বড় প্রমাণ হলো, ৭৭ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচে কোনো গোল না হওয়া। স্বাগতিকদের হয়ে ডেডলক ভাঙেন থিয়াগো আলমাদা। ৭৮ মিনিটে লিওনেল মেসির বাঁকানো ফ্রি কিক পানামার পোস্টে লেগে ফিরলে লিয়ান্দ্রো পারেদেস ভলি করতে ব্যর্থ হন। পাশেই দাঁড়ানো থিয়াগো আলমাদা বাঁ পায়ের শটে গোল করেন।
আরও পড়ুন… পেশাদার ফুটবলকে বিদায় বললেন মেসুত ওজিল
এর আগে প্রথমার্ধের ১৮ মিনিটেও মেসির ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে দুইবার পোস্ট মেসিকে ফেরালেও, মেসি ঠিকই খুঁজে নেন জালের ঠিকানা। সেটা ওই ফ্রি কিক থেকেই। ৮৯ মিনিটে দর্শনীয় এক গোলের উৎসবের রাতটা আরও স্মরণীয় করে রাখেন মেসি। কেননা ক্লাব ও জাতীয় দল মিলিয়ে যে এটা তার ৮০০তম গোল। বিশ্বের তৃতীয় ফুটবলার হিসেবে এ কীর্তির মালিক এখন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
পানামার বিপক্ষে স্কালোনি খেলান কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের একাদশই। আগামী ২৮ মার্চ আন্তজার্তিক প্রীতি ম্যাচে কিরাসাওয়ের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
ইবাংলা/এইচআর /২৪ মার্চ ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.