সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নোয়াখালীর শহীদুল ও হেলালের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তারা ছিলেন তাদের পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। তাদের মৃত্যুতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সন্তানদের ভবিষ্যৎ। জানা যায়, এক বছর আগে জীবিকার সন্ধ্যানে পরিবারের বড় ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন সৌদি আরবে পাড়ি জমান। এরপর তিনি একটি রোঁস্তেরায় চাকরি নেন। তার হাজাবি নামে তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন… নোয়াখালীতে মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নিহতের ছোট ভাই মো.রিপন। তিনি বলেন, ভাইয়া সহ আরো ৪ জন ওমরা করার জন্য এক সঙ্গে মক্কা নগরীর উদ্দেশে যাত্রা করে। যাত্রা পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনই মারা যান। শোকার্ত ভাই রিপন আরো জানান, তাদের পরিবারে শোকের মাতম চলছে। এ শোকে পরিবারের সদস্যরা পাথর হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে, গত বছরের এপ্রিল মাসে পরিবারের বড় ছেলে শহীদুল ইসলাম ওরফে শাহেদ জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব যান। সেখানে তিনি একটি দোকানে কর্মরত ছিলেন। গতকাল ওমরাহ পালনের উদেশ্যে কর্মস্থল থেকে রওনা হলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম রিগান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শোকে পাথর হয়ে গেছে গোটা পরিবার। পরিবারের একমাত্র চালিকা শক্তিকে হারিয়ে, সবাই এখন দিশেহারা। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন… নোয়াখালীতে কিশোরকে বলৎকারের অভিযোগ
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) সৌদি আরবে স্থানীয় সময় বিকেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওমরাহযাত্রীদের বহনকারী একটি বাস ইয়েমেন সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশী।
ইবাংলা/এইচআর/২৯ মার্চ ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.