গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে এবং আবহাওয়া অফিস বলছে তাপমাত্রা বাড়ার এ প্রবণতা আরও অন্তত এক সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে। বৈশাখ মাস আসার আগেই ভয়াবহ দাবদাহে অস্থির হয়ে উঠেছে জনজীবন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে , মানুষ তো বটেই, ভুগছে প্রাণপ্রকৃতিও। বৈরী আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বয়স্ক ব্যক্তি ও শিশুরা।
আরও পড়ুন… হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদন শুরু ১৬ এপ্রিল
বুধবার (১২ এপ্রিল) আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শিগগিরই স্বস্তির সুখবর তো নেই-ই, উল্টো এমন দশা চলতে পারে আরও বেশ কয়েক দিন। আবহাওয়াবিদরাও বলছেন, গরমের তেজ আগামী কয়েক দিনে ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসও ছুঁতে পারে। গতকাল (মঙ্গলবার) এ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম এবং নেত্রকোনা জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে; যা আরও সাত দিন অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনে তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতে তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে রাজশাহী, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের দু-এক জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বয়ে যেতে পারে তীব্র আকারে তাপপ্রবাহ।
আরও পড়ুন… জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
এদিকে এমন বৈরী আবহাওয়া ফসলের জন্য বিপদ ডেকে আনছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, তাপপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের জমি রোদে শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। দেখা দিয়েছে সেচের পানির সংকট। এই সময়ে কৃষি ও ফসলের সুরক্ষায় বেশকিছু সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
ইবাংলা/এইচআর/১২ এপ্রিল ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.