দরজায় কড়া নাড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার ঘরমুখো মানুষ ছুটে আসছে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায়।
ভোর থেকে যাত্রীবাহী পরিবহনের তেমন চাপ না থাকলেও অনিয়মিত গাড়ির (লোকাল গাড়ি) বেশ চাপ রয়েছে।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় এমন দৃশ্যের দেখা মেলে। পাটুরিয়া ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় শতাধিক ছোটগাড়ি (প্রাইভেটকার), যাত্রীবাহী পরিবহন অর্ধ শতাধিক পদ্মা নদী পারের অপেক্ষায় আছে। ফেরি পারাপারের গাড়ির তেমন চাপ না থাকলেও লঞ্চ পারাপারের কাটা গাড়ির (লোকাল গাড়ি) চাপ পড়েছে।
আরও পড়ুন…বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢল জুমাতুল বিদায়
এদিকে লঞ্চ টার্মিনালের প্রায় অর্ধ কিলোমিটার দূরে নামিয়ে দিচ্ছে যাত্রীদের আর সেখান থেকে হেঁটে আসতে হচ্ছে লঞ্চ ঘাটে। অন্য দিকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ২০টি ফেরি নিয়োজিত রয়েছে ঈদ যাত্রী ও যানবাহনগুলোকে নদী পার করতে। ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে নিরাপত্তা দিচ্ছে জেলা পুলিশ।
ঢাকা থেকে আসা যশোরগামী যাত্রী আলী হোসেন বলেন, আজ সকালেই রাস্তায় কিছু কিছু জায়গাতে যানবাহনের ধীরগতি ছিল তবে বড় ধরনের কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। ঘাট এলাকায় এসে ভালো লাগছে যে অন্য বছরের মতো কোনো ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না। নামলাম গাড়ি থেকে আর কিছু দূর হেঁটেই লঞ্চে উঠে পড়লাম এখন শুধু নদী পাড়ি দেওয়া। নবীনগর থেকে আসা ইমরুল নামের এক পোশাক শ্রমিক বলেন, সকাল ৮টার দিকে নবীনগর থেকে গাড়িতে উঠেছি আর এখন ঘাটে এসে পৌঁছেছি, রাস্তায় তেমন কোনো যানজট নেই। প্রতিটি ঈদে একটাই বড় সমস্যা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আমাদের কাছ থেকে। আমরা কিন্তু নির্দিষ্ট পরিমাণ একটা টাকা আয় করি আর সেই টাকা নিয়ে বাড়ি যাই আর রাস্তায় যদি এভাবে অতিরিক্ত খরচ হয়ে যায়, পড়ে আমাদের অন্য কারো কাছে হাত পাততে হয়। এই অতিরিক্ত ভাড়া ছাড়া আর সব কিছুই ঈদ যাত্রায় আমার কাছে ভালো লাগছে।
আরও পড়ুন…বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢল জুমাতুল বিদায়
পাটুরিয়া লঞ্চ মালিক সমিতির ম্যানেজার পান্না লাল নন্দী বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষকে নিরাপদে নদী পার করতে আমরা সর্বক্ষণ কাজ করে যাচ্ছি। ভোর থেকেই যাত্রীর চাপ চোখে পড়ার মতো তবে প্রতিটি লঞ্চে ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী যাতে নিতে না পারে সে জন্য আমরা তৎপর।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কারর্যালয়ের ডিজিএম শাহ খালেদ নেওয়াজ বলেন, সকাল থেকেই ছোট গাড়ির কিছুটা উপস্থিতি চোখে পড়েছে তবে আমরা তাদের কোনো ভোগান্তি লাগব করতে ৫ নাম্বার ঘাট দিয়ে গাড়িগুলো পার করছি। অন্যদিকে যাত্রীবাহী পরিবহন গুলো ঘাট এলাকায় আসছে এবং পাঁচ দশ মিনিট অপেক্ষা করেই ফেরি উঠে নদী পার হচ্ছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনগুলোকে ভোগান্তি ছাড়াই পার করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে বলেও জানান তিনি।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খান বলেন, প্রতিবারের মতো এবারো আমরা জেলা পুলিশ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা এবং যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি।
ই-বাংলা / এম আর আর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.