সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তানের তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য লাহোরের শওকত খানম হাসপাতালে গেছেন। পেটে ব্যথা অনুভব করায় শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে হাসপাতালে যান তিনি। পিটিআই এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ইমরান খান হাসপাতালে গেছেন।
স্থানীয় সময় রাত ১টা ৩৫ মিনিটে করা টুইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পিটিআই তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে দেখা গেছে, ইমরান খান তার জামান পার্কের বাড়ি থেকে গাড়িতে করে হাসপাতালে যাচ্ছেন।
এদিকে পাকিস্তানের আরেক সম্প্রচারমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, প্রায় চার ঘণ্টা হাসপাতালে থাকার পর ইমরান খান তার নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।
গতকাল বিকেল থেকে অসুস্থ বোধ করছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও একসময়ের তারকা ক্রিকেটার ইমরান খান। তার পেটে ব্যথা ক্রমশ বাড়ছিল। পরে মধ্য রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যান।
আরও পড়ুন>> আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার সর্বনিম্ন দর
জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালে পৌঁছার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল দ্রুত তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। পেটে ব্যথার কারণ অনুসন্ধানের জন্য তারা বেশ কয়েকটি পরীক্ষাও করেছেন বলে জানা গেছে।
আলোচিত আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৯ মে রাজধানী ইসলামাবাদে ইমরান খান গ্রেপ্তার হন। তবে তিনি এখন জামিনে রয়েছেন। জামিন পাওয়ার পর থেকে তিনি লাহোরে জামান পার্কের বাড়িতে রয়েছেন। গত ১৮ মার্চ তোশাখানা মামলায় ইমরান আদালতে হাজিরা দিতে গেলে পুলিশ তার বাড়ি জামান পার্কে যায়। সেখানে পুলিশ ভারী সরঞ্জাম ও ক্রেন নিয়ে বাড়ির ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে।
ইমরান খানের গ্রেপ্তারের জেরে পাকিস্তানজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে পিটিআই নেতা-কর্মীদের ওপর ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।
এদিকে পাঞ্জাব পুলিশের অভিযোগ, ৩০–৪০ জন সন্ত্রাসী ইমরানের বাড়িতে লুকিয়ে আছেন। তাদের ধরতে আদালতের অনুমতি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার লাহোরে ইমরানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায় পাঞ্জাব পুলিশ। তবে ইমরানের দল পিটিআইয়ের নেতা–কর্মীরা পুলিশকে বাধা দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে লুকিয়ে থাকা সন্ত্রাসীদের পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের হাতে তুলে দিতে পিটিআইয়ের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। তা না হলে ব্যবস্থা নেয়ার হুমকিও দেয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময় চলে গেলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.