যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বেশ কয়েক দফা নতুন আলোচনা হলেও সহজে অচলাবস্থা কাটার চিত্র দেখা যাচ্ছে না। তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বেইজিং সফরে যেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংঘাত এড়ানোর লক্ষ্যে দুই প্রতিপক্ষকে একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ দিয়ে সন্দেহজনক চীনা গোয়েন্দা বেলুন উড়ে যাওয়ার পর ফেব্রুয়ারি থেকে আলোচনা স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র। খবর ভয়েস অব আমেরিকার
পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড্যান ক্রিটেনব্রিংক সোমবার তার চীনা সমপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, দুই দেশ যোগাযোগের পথগুলো খুলতে রাজি হয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন মঙ্গলবার সংবাদদাতাদের বলেছেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি ও মতপার্থক্য মেটানোর’ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন>>ঢাকা-১৭’র উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরাফাত
এই আলোচানার আগে সিআইএ পরিচালক উইলিয়ম বার্নস মে মাসে গোপন সফরে বেইজিং গিয়েছিলেন বলে ২ জুন প্রথম জানায় ফিনান্সিয়াল টাইমস। এছাড়া, মে মাসের ১০ ও ১১ তারিখে ভিয়েনায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে, তার চীনা সমপক্ষ ওয়াং ওয়াইয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনে পূর্ব এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন ইভানস রিভেয়ার। তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক আলোচনার পথ পুনরুদ্ধার করতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন ধীরে ও সতর্কভাবে এগোচ্ছে। যাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সম্ভাব্য সংঘাত ও সযত্ন অবহেলা থেকে রক্ষা করা যায়।’
তিনি জানান, ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সামলাতে একটা পথ বের করা ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এটা এমনভাবে করতে হবে, যাতে ভুল বোঝাবুঝি, ভুল ধারণা ও ভুল ও সংঘাতের দিকে পরিচালিত করে এমন কৌশলগত প্রতিযোগিতা রোধ করা যায়।’
এই দুই দেশের মধ্যে বহু বিষয় নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। এক দেশ, আরেক দেশের দাবিকে তাদের জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা হিসেবে দেখে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দুই দেশ বহু পণ্যে ব্যাপক শুল্কারোপ করেছে।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.