আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ভালো সংগ্রহ পাওয়ার পর বল হাতেও শুরুটা দারুণ ছিল বাংলাদেশের। তবে টাইগারদের বোলিং তোপ সামলে মিডল অর্ডারে ধীরে ধীরে ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছে আফগানরা।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আফগানিস্তানের সংগ্রহ চার উইকেটে ৯১ রান। নিজেদের প্রথম ইনিংসে অল আউট হওয়ার আগে ৩৮২ রান করেছে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ইব্রাহিম জাদরান ও আব্দুল মালিক। শুরুতেই জীবন পান জাদরান। তার ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেননি লিটন দাস। তবে তার হাতেই ধরা পড়ে মাঠ ছাড়েন এ ওপেনার।
আরও পড়ুন>> ২০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮২ রানে থামল বাংলাদেশ
শরিফুল ইসলামের বলে আউট হওয়ার আগে ৬ রান করেন জাদরান। এরপর জোড়া আঘাত হানেন এবাদত হোসেন। আরেক অপেনার মালিককে ১৭ ও তিনে নামা রহমত শাহকে ৯ রানের বেশি করতে দেননি তিনি।
লাঞ্চ বিরতির পর চতুর্থ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। হাশমতউল্লাহ শাহিদিকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন শরিফুল। তবে এরপর আফসার জাজাই ও নাসির জামাল মিলে দলকে গিয়ে নিচ্ছেন।
এর আগে মুশফিকুর রহিম ৪১ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন। দুজনের ব্যাটে বড় সংগ্রহের স্বপ্নে ছিল টাইগাররা। কিন্তু এদিন সকালে বাংলাদেশের ইনিংস টিকে ছিল মাত্র ৪৫ মিনিট। যেখানে ৭ ওভারে আসে ২০ রান।
নিজাত মাসুদের বলে ৪৭ রানে স্লিপে ধরা পড়েন মুশফিক। তার আগের ওভারেই আহমাদজাইয়ের বলে পয়েন্টে আউট হন মিরাজ। এ অলরাউন্ডার করেন ৪৮ রান। অল্প সময়ে দুজনের বিদায়ে বেশ বিপদে পড়ে টাইগাররা।
লেজের দিকের ব্যাটাররাও আজ কিছু করতে পারেননি। তাসকিন আহমেদ ২ রান করলেও খাতা খোলার আগেই ফিরেছেন তাইজুল ইসলাম। শরিফুল ৬ রানে আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয় স্বাগতিকদের ইনিংস।
বল হাতে আফগানিস্তানের হয়ে আলো কেড়েছেন এ ম্যাচে অভিষিক্ত নিজাত মাসুদ। ইতিহাসের ২২তম বোলার হিসেবে অভিষেকের প্রথম ডেলিভারিতেই উইকেট নেয়া এ বোলার শিকার করেছেন পাঁচ উইকেট।
দ্বিতীয় আফগান বোলার হিসেবে অভিষেকে ৫ উইকেট শিকার করেছেন মাসুদ। তিনি ছাড়া ইয়ামিন আহমাদজাই দুটি এবং জহির খান, আমির হামজা ও রহমত শাহ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.