খেলাধুলা ডেস্ক: ইউরোপের ক্লাব ফুটবলে ২০২২-২৩ মৌসুমের শেষে শুরু হয়েছে ফিফা উইন্ডো। ফুটবলাররা ব্যস্ত সময় পার করছেন জাতীয় দলের খেলায়। এ সময়ে চলছে ২০২৪ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্ব। আর এতে ফ্রান্স পেয়েছে তাদের চতুর্থ জয়। কিলিয়ান এমবাপের গোলে গ্রিসকে হারিয়েছে তারা।
কাতার বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার কাছে টাইব্রেকারে হেরে টানা দ্বিতীয়বার শিরোপা ঘরে তোলার মিশন ব্যর্থ হয় ফ্রান্স। তবে এরপরে সব ম্যাচেই তাদের জয়রথ ধরে রেখেছে তারা। সোমবার রাতে প্যারিসে ঘরের মাঠে গ্রিসের বিপক্ষে খেলতে নামে দিদিয়ের দেশমের দল। তবে এ ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধ্বে দশজনের দলের সাথেও বড় ব্যবধানে জিততে পারেনি তার দল।
আরও পড়ুন>> সাত অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
শক্তিশালী ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলতে নেমে এদিন নিজেদের রক্ষণ বেশ ভালোভাবেই সামলিয়েছে গ্রিস। ফলে প্রথমার্ধ্বে জালে বল ঢোকাতে ব্যর্থ হয় ফরাসিরা। ম্যাচের ১২ মিনিটে কিংসলে কোমানের নেয়া ডান পায়ের শট চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে। এরপর আরও বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষের রক্ষণ ফাঁকি দিয়ে গোল করার চেষ্টা করলেও গলের দেখা পায়নি এমবাপে-গ্রিজমানরা। বিরতির আগ মুহুর্তে কোমানের পাস পেয়ে শট নেন জুলস কুন্দে, তবে গোলরক্ষকের দক্ষতায় বেঁচে যায় গ্রিস।
প্রথমার্ধ্ব গোল শূন্য হলে বিরতির পর দুই দলই হয়ে ওঠে আক্রমণাত্মক। বিরতির পর দশ মিনিটের মাথায় গ্রিসের বক্সে হেড করতে গিয়ে প্রতিপক্ষ ফুটবলারের বুটের আঘাতের শিকার হন আতোয়া গ্রিজমান। ফলে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। আর প্রথম সুযোগে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক এমবাপে। কিন্তু পরে জানা যায় গোল লাইন থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন গোলরক্ষক। ফলে দ্বিতীয়বার স্পট কিক নেয়ার সুযোগ পায় ফ্রান্স। এবার আর ভুল করেন নি এমবাপে।
পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচের গোল ক্ষরা কাটানোর পরও আর গোল করতে ব্যর্থ হয় দুই দলই। ব্যবধান বাড়ানোর পর আরও আক্রমণে গেলেও আর গলের দেখা পায়নি ফ্রান্স। ৬৯ তম মিনিটে কুলো মুয়ানি বাজে ফাউলের শিকার হলে লাল কার্ড দেখেন গ্রিসের মাভ্রোপানস। পরে দশজনের দলে পরিণত হয়ে আর গোল করার সুযোগ পায়নি তারা। রক্ষণ সামলে নিজেদের জাল অক্ষত রাখে তারা।
এদিন নির্ধারিত সময়ের পরও খেলা হয় আরও ১৪ মিনিট। কিন্তু আর গোল না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত এক গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ফ্রান্স। বাছাইপর্বে টানা চতুর্থ জয়ে তারা পেয়েছে মোট ১২ পয়েন্ট। ফলে বি গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান করছে তারা।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.