তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সংলাপের কথা কিছু এক-এগারোর কুশীলবরা বলছে আর অন্য কিছু ব্যক্তিবিশেষ বলছেন। বিএনপিও তো সংলাপের কথা বলছে না! বিএনপিও তো বলছে না যে আমাদের সঙ্গে সংলাপ করতে চায়। এটা কারা বলছে, সেটা আপনারা (গণমাধ্যমকর্মী) কিছুটা জানেন, আমরাও জানি। কিছু এক-এগারোর কুশীলবরা আছে এর সঙ্গে। সংলাপ নিয়ে বিদেশিরা আমাদের কাউকে কোনো তাগাদা দেয়নি।
রোববার সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি বা অন্য কারো যদি কোনো বক্তব্য থাকে সেটি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তারা আলাপ-আলোচনা করতে পারে। কারণ নির্বাচন আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন>> বিএনপি-জামায়াত চায়নি দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক: প্রধানমন্ত্রী
অবশ্যই রাজনীতিতে আলাপ-আলোচনা হতেই পারে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, গতকাল দেশে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের ব্যানারে (স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ীদের করণীয় শীর্ষক সম্মেলনে) শীর্ষ ব্যবসায়ীরা এক বাক্যে সবাই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান বলে ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। এটি থেকে এখন যারা নানা ধরনের কথা-বার্তা বলেন, তাদের একটু শিক্ষা নেয়ার আছে।
দেশ গত সাড়ে ১৪ বছরে বদলে গেছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের জিডিপি ছিল ১০০ বিলিয়ন ডলার। সেটি এখন ১ ট্রিলিয়ন ডলার। জিডিপি আকার ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজেটের আকার সাড়ে ১১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় বিএনপির আমলে ৫৪০ ডলার থেকে এখন ২ হাজার ৮৫০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। যদি ডলারের দাম না বাড়ত, তাহলে এত দিন ৩ হাজার ডলার ছাড়িয়ে যেত। গত সাড়ে ১৪ বছরের পথ চলায় জিডিপির আকারে আমাদের অর্থনীতি মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইউরোপের কয়েকটি দেশকে ছাড়িয়েছে। এটি চারটিখানি কথা নয়।
তিনি আরও বলেন, এদেশের ব্যবসায়ীরা ‘জানেন ও বোঝেন’ যে সরকারের স্থিতিশীলতা থাকলে দেশের উন্নতি হবে। তাই তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় দেখতে চান। ব্যবসায়ীরা দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা চাইবে সেটিই স্বাভাবিক।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.