সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যতম ভাইরাল অ্যাপ টিকটক। টিকটকের মাধ্যমে যে কেউ সহজেই নিজের বিভিন্ন বিষয়ক ভিডিও বানিয়ে শেয়ার করতে পারে। তাই কিশোর-কিশোরীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও কল্যাণের জন্য উল্লেখযোগ্য দুটি উদ্যোগ নিয়েছে টিকটক। এর একটি হলো ফ্যামিলি পেয়ারিং ও আরকেটি ইয়ুথ কাউন্সেলিং। পিতামাতা এবং অভিভাবকদের মূল্যবান সব ফিডব্যাকের ফলে টিকটক তাদের ফ্যামিলি পেয়ারিং ফিচারের মাধ্যমে কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। এখন অ্যাপটি ব্যবহার করার সময় কিশোর-কিশোরীরা যে কনটেন্টগুলো দেখছে তাদের পিতামাতা বা অভিভাবকরা সেগুলো আরও বেশি করে কাস্টমাইজ করতে পারবেন।
অভিভাবকরা তাদের কিশোর-কিশোরীদের জন্য যেসব শব্দ, হ্যাশট্যাগ এবং থিমকে অনুপযুক্ত মনে করেন সেগুলো কনটেন্ট ফিল্টারিং টুল ব্যবহারের মাধ্যমে ফিল্টার করতে পারবেন। এর মধ্য দিয়ে তারা তাদের সন্তানদের জন্য একটি উপযুক্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে পারবেন।
আরও পড়ুন>> ১৬ ডিআইজিকে একযোগে বদলি
নিরাপত্তার কাঠামোকে সুসংহত এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে টিকটকের সঙ্গে বিখ্যাত বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। যার মধ্যে রয়েছে ফ্যামিলি অনলাইন সেফটি ইনস্টিটিউট। বিশেষজ্ঞদের দক্ষতার মাধ্যমে টিকটক অভিভাবকদের উদ্বেগ দূর করে এবং একই সাথে অনলাইনে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে কিশোর-কিশোরীদের অধিকারও রক্ষা করে।
এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে, টিকটক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে এবং অভিভাবকদের যুক্ত করা কীওয়ার্ডগুলো কিশোর-কিশোরীরা দেখতে পায়। টিকটকের এই স্বচ্ছতা অনলাইনে নিয়ন্ত্রণ এবং এর নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতেও উৎসাহিত করে। সেই সঙ্গে সন্তান এবং পিতামাতার মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়াকেও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।
টিকটকের নতুন কনটেন্ট ফিল্টারিং ফিচারটি ব্যবহার করলে ১৩ থেকে ১৭ বছর বয়সী ব্যবহারকারীরা তাদের বয়স অনুযায়ী অনুপযোগী বা জটিল বিষয়ের কনটেন্টগুলো আর দেখতে পারবে না। ফ্যামিলি পেয়ারিং ছাড়াও প্লাটফর্মটি চালু করেছে ইয়ুথ কাউন্সিল। তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি টিকটকের নতুন একটি উদ্যোগ।
টিকটকের নীতি ও ফিচার তৈরিতে তরুণরা এতে আরও সক্রিয় হতে পারেন। কিশোর-কিশোরীদের ধারণা, নতুন ভাবনা এবং যেকোনো উদ্বেগ শেয়ার করার জন্য ইয়ুথ কাউন্সিল একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। ফলে টিকটক কমিউনিটিকে আরও নিরাপদ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে তারা অবদান রাখতে পারবে। সূত্র: বিজনেস রের্কডার
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.