ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক সবসময়ই তলানীতে। একে অপরের প্রতি মন্তব্যে ব্যস্ত থাকেন দুই দেশের নেতারা। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রমের হুঁশিয়ারি দেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এর জবাবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতকে মোকাবেলার পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতা আছে পাকিস্তানের’।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং উস্কানিমুলক বক্তব্য দিচ্ছেন অভিযোগ করে এর কড়া সমালোচনা করেছে পাকিস্তান। তাদের অভিযোগ, রাজনাথ সিং এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিতে বেসামরিক লোকজনের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
আরও পড়ুন>> একই শর্তে দুই দলকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্যের জবাব দিয়ে বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, লাদাখের ড্রাসে গত ২৬শে জুলাই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী উস্কানিমুলক বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি নিয়ন্ত্রণরেখা অতিক্রমের প্রস্তুতি বাড়ানোর কথা বলেছেন। এর নিন্দা জানায় পাকিস্তান।
এমন অবস্থায় আরও একটি বিবৃতি দিয়েছেন রাজনাথ সিং। এতে ভারত দখলীকৃত জম্মু-ও কাশ্মীরের সম্মান ও অখণ্ডতা রক্ষায় নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতের প্রস্তুতির কথা বলেছেন। জবাবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে, যেহেতু এমন উস্কানিমুলক বাগাড়ম্বরতা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি, তাই ভারত যেন এক্ষেত্রে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করে।
পাকিস্তানের বিবৃতিতে বলা হয়, আজাদ জম্মু ও কাশ্মির, গিলগিট বালতিস্তান নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক নেতারা ও সেনাবাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তাদের উচ্চ মাত্রায় দায়িত্বহীনের মতো কথাবার্তা এটাই প্রথম নয়। এ ধরনের আগ্রাসী বক্তব্য অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। ভারতীয় নেতৃত্বকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হচ্ছে যে, যেকোনো রকম আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজের আত্মরক্ষার পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতা আছে পাকিস্তানের।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, হাইপার-ন্যাশনালিজম উস্কে দিয়ে এবং নির্বাচনে সুবিধা পাওয়ার উদ্দেশে পাকিস্তানকে জনগণের কাছে টেনে আনে ভারত। তাদের এই অভ্যাসের ইতি ঘটা উচিত।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.