বরগুনায় আমাবর্ষার জোয়ারের পানি ও গতদুইদিন ধরে টানা বর্ষনে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে স্থানীয়দের দুর্ভোগের অন্ত:নেই। বরগুনার বিষখালী ও খাকদোন নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার প্রধান দুই ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে গেছে। এখন দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে এসব রুটে চলাচল করছেন সাধারণ মানুষ।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, পূর্ণিমার জোয়ার ও বৃষ্টিপাতের প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় বিষখালী ও খাকদোন নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৮ ও ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া জেলার পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৪৩ সেন্টিমিটার এবং পাথরঘাটার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৫৭ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে ৯ আগস্ট ভূমিহীনদের গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী
তবে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে বলেও জানা গেছে। এদিকে জোয়ারে তলিয়ে গেছে আমতলী-পুরাকাটা ও বড়ইতলা-বাইনচটকি ফেরীর গ্যাংওয়ে। এতে গাড়ি নিয়ে পার হতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। গোলবুনিয়া এলাকার ফয়সাল সিকদার বলেন, এ এলাকাসহ বেশকিছু এলাকার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে আছে। বৃষ্টি ও জোয়ারে মানুষ আতঙ্কে আছে।
বরগুনার মাঝের চর এলাকার কাদের গনিসহ একাধিক বাসিন্দা বলেন, আমাদের জমিজমা নেই। তাই নদীর চরে বাড়ি করেছি। ভাবছিলাম এবার বন্যা হবে না কিন্তু পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে বোরো আবাদ মনে হয় বন্যায় খেয়ে যাবে। রাতে ঘুম হয় না, খুব দুশ্চিন্তায় আছি।
পুরাকাটা-আমতলী রুটে চলাচল করা কয়েকজন মোটরসাইকেল চালক বলেন, আমরা কোম্পানিতে চাকরি করি। মালামাল নিয়ে প্রতিদিন আমতলী যেতে হয়। তবে ফেরিঘাট পানিতে ডুবে থাকে। পানির মধ্যে দিয়েই আমাদের পাড়ে উঠতে হয়। এতে মালামাল কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যায়।
এ বিষয়ে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব বলেন, বরগুনার প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আশা করি পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি ঘটবে। টানা বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের কারণে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.