মামলায় জব্দ দেখানো ১০ হাজার ৬৭৫ কেজি চিনি ৫০ টাকা দরে গত ১৪ আগস্ট নিলামে বিক্রি করেছেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জসিম। অথচ বাজারে এখন খোলা চিনির কেজি ১৩০ টাকা আর প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। বাজার মূল্যের অর্ধেকের কম দামে চিনি বিক্রি করায় এ নিলাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
আদালতের এজলাস কক্ষে সংশ্লিষ্ট থানার জিআরও, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে নিলাম করার নিয়ম থাকলে এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে নিলাম প্রক্রিয়ায় কারসাজির।
সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জসিম একটি নিলাম অনুষ্ঠান করেছেন যেখানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন না।
আবার নিলামে অংশ নিতে ইচ্ছুক অন্য অনেককে পাশ কাটিয়ে অল্প কয়েকজনের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে তিনি নিলামটি পরিচালনা করেছেন। এছাড়া তিনি বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম মূল্যে পণ্য নিলাম করে দিয়েছেন। যা নিয়ে আদালত অঙ্গনে সমালোচনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন…৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহে
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জুলাই দারুস সালাম থানায় ১০ হাজার ৬৭৫ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওই চিনি নিলামে বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন।
গত ১৩ আগস্ট ওই নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ওই নিলাম ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয়।এ ব্যাপারে আদালতের দারুস সালাম থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আল মামুন বলেন, গত ১৩ আগস্ট এ নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পরে ১০ আগস্ট কোর্ট জানায়, ১৩ আগস্ট নিলাম হবে না।
বাজারে খোলা চিনির বর্তমান মূল্য ১৩০ টাকা আর প্যাকেটজাত চিনির দাম ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। জানা গেছে, ১৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত ওই নিলামে বিচারক মোহাম্মদ জসীম ১০ হাজার ৬৭৫ কেজি চিনি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
আরও পড়ুন…পার্লামেন্টে প্রস্তাব পাস, অভিবাসীসহ চার প্রশ্নে পোল্যান্ডে গণভোট
ভ্যাটসহ ওই চিনি বিক্রি হয়েছে ৫ লাখ ৭৩ হাজার ৭৮২ টাকায়। নামমাত্র মূল্যে চিনি বিক্রির কারণে সরকারের প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। বাজার মূল্যে বিক্রি করলে প্রায় ১৪ লাখ টাকা পেত সরকার।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.