মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ কোরআন পোড়ানো বন্ধ করতে এবার আইন সংশোধন করে পুলিশের ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুইডেন। নতুন আইন প্রণয়ন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে দেশটির সরকার। আইন সংশোধন হলে যে কোনো বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের অনুমতি দেওয়া- না দেওয়ার ব্যাপারটি পুরোপুরি পুলিশের এখতিয়ারে চলে যাবে।
শুক্রবার রাজধানী স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির বিচার বিষয়ক মন্ত্রী গানার স্ট্রমের। রাষ্ট্রীয় আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনতে শিগগিরই একটি কমিশন নিয়োগ করা হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, কোরআন পোড়ানোর টানা কয়েকটি ঘটনায় সম্প্রতি দেশের অভ্যন্তর ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পর্যায় থেকে অসন্তোষ ও হুমকি আসছে সুইডেনের বিরুদ্ধে, যা সুইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতির জন্য ঝুঁকির সৃষ্টি করছে।
আরও পড়ুন…৩২৭ দিন পর মাঠে ফিরছেন ম্যাচসেরা বুমরাহ
‘আমরা জানি না— এসব হুমকি কতটা সঠিক, কিংবা ফাঁকা। কিন্তু জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আমরা কোনোভাবেই ঝুঁকিতে ফেলতে পারি না,’ সংবাদ সম্মেলনে বলেন স্ট্রমের।
সম্প্রতি পর পর কয়েকটি কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ব্যাপক অসন্তোষ-নিন্দা জানিয়েছে সুইডেনের উদ্দেশে। মুসলিম দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজের উদ্যোগে জাতিসংঘেও সুইডেনের বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
কোরান পোড়ানোর সবগুলো ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন ইরাকের এক নাগরিক সালওয়ান মোমিকা, যিনি অভিবাসী হিসেবে সুইডেনে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন।
এদিকে, সরকারের এই উদ্যোগকে ইসলামপন্থী বিশ্বের সামনে ‘নতজানু হওয়া’ হিসেবে বিবেচনা করছে সুইডেনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এ তালিকায় রয়েছে সরকারের সমর্থক দল সুইডেন ডেমোক্র্যাটসও।
আরও পড়ুন…ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছাড়াল ৪৫০, হাসপাতালে ১৫৬৫
আদর্শগতভাবে অভিবাসনবিরোধী সুইডেন ডেমোক্র্যাটসের শীর্ষ নেতা জিমি অ্যাকেসন শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিভিন্ন ধর্মীয় মূল্যবোধ যদি এক জায়গায় সহাবস্থান করে, সেক্ষেত্রে তাদের মধ্যে ঠোকাঠুকি লাগা স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা বলতে চাই, সুইডেন ডেমোক্র্যাটস কখনও ইসলামপন্থী ও স্বৈরাচারীদের হুমকির কাছে মাথা নত করবে না।’
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.