নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ধীরে ধীরে কমে আসবে। একটা সময় বিএনপিও ভোটে আসবে।
রোববার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ বছরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট করার কথা রয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের।
নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আমাদের আসলে একটা চতুর্মুখী প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ভোট করতে গেলে আমাদের যে ধরনের কাজ করতে হয়, সব শুরু করে দিয়েছি। অনেক এগিয়ে গেছে ও চলছে। তোড়জোড় চলছে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নির্দেশিকা তৈরির। আগামীকাল কমিশন সভায় উঠবে।’
তিনি জানান, প্রশিক্ষণ শুরুর আগে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ করা লাগবে। এ জন্যে ভোটকন্দ্রের তালিকা করার খসড়া এসে গেছে। এখন ভোটকেন্দ্র ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা বিষয়ে তোড়জাড় শুরু হয়েছে। কেন্দ্রভিত্তিক প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসার দিয়ে কয়েক লাখ লোকবলকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।
এ নির্বাচন কমিশনার জানান, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব বিবেচনায় নীতিমালা মেনে কাজ করতে হবে। আগের মতো সবাইকে পক্ষপাতহীনভাবে কাজ করতে হবে।
রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। এরপরে তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দ শেষে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু হবে।
বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা সুলতানা জানান, কমিশন সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হলে বিস্তারিত জানানো যাবে।
তিনি বলেন, ‘[বিদেশি পর্যবেক্ষক] আমরা নিয়োগ দেব না। স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র হয়ে আসবে। নীতিমালা মেনে তাদের কাজ করতে হবে।’
আরও পড়ুন>> মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের উদ্বোধন ২০ অক্টোবর
দলীয় সরকারের অধীনে ভোট করায় কোনো ধরনের চাপ ছিল না বা এখনও নেই বলেও জানান এই নির্বাচন কমিশনার।
চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভোটের দিন ভোরে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর চিন্তাভাবনা নিয়েও কথা বলেন এ নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, ‘ভোট মানেই চ্যালেঞ্জ। ইভিএমে হোক, ব্যালটেই হোক। চ্যালেঞ্জ উত্তরণে যা যা করা দরকার তা চেষ্টা করে যাচ্ছি। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার একটা বড় স্টেপ‒ দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়া সবখানে ব্যালট পেপার যতটা সম্ভব সকালে পাঠানোর চেষ্টা করব। এসব নিয়ে আমাদের চিন্তাভাবনা চলছে।’
রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে আসবে‒ এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘অস্থিরতা তো সারাজীবন থাকবে। কোনদিন রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল না? …অতীতকে আমরা আঁকড়ে ধরব না। অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে এগোতে হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখনও আশাবাদী বিএনপি ভোটে আসবে। দেড় বছর ধরে বরাবরই বলে আসছি, তারা আসবে। রাজনীতির কূটকৌশল, কে কীভাবে এগোবে ভোটের আগের দিন পযন্ত বলা কঠিন। এটা তারা কীভাবে নিচ্ছেন, কী কারণে করছেন, কী চিন্তা করছেন এটা তাদের ব্যাপার। আমরা কিন্তু আশাবাদী, কমিশন মনে করে ইনশাআল্লাহ আসবে।’
ইসিকে আস্থায় আনার বিষয়টি বিএনপিকে মাথায় আনার অনুরোধ জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘আস্থায় রাখতে না পারলে… উনারা মাথায় নিচ্ছেন না আস্থায় আনা যায়। মাথায় নিলেই আস্থায় এসে যাবে। আমার ধারণা, একটা পর্যায়ে উনারা আস্থায় নেবেন, ভোটে আসবেন।’
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.