লংকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতেছে বি-লাভ ক্যান্ডি। প্রথমবারের মতো এলপিএলের শিরোপা জিতল দলটি। বি-লাভ ক্যান্ডি লিগ পর্যায় টেবিলের তৃতীয় স্থানে থেকে শেষ করে। এরপর তারা জিতেছে টানা তিন ম্যাচ এলিমিনেটর, কোয়ালিফায়ার ২, ফাইনাল; আর তাতেই ট্রফি ঘরে তুলে।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক (২৭৯ রান) ও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর (১৯ উইকেট) পুরস্কার জেতা ক্যান্ডি অধিনায়ক হাসারাঙ্গাই হলেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ফাইনাল গড়িয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত। যেখানে নিজের নার্ভ ধরে রেখে ম্যাচটা নিজেদের করে নিয়ে ক্যান্ডি। দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। তার ২১ বলে ২৫ রানের ঠাণ্ডা মাথার ইনিংস দলকে দিয়েছে শিরোপার স্বাদ।
আরও পড়ুন>> ব্রাজিলে ফুটবল খেলা দেখে ফেরার পথে নিহত ৭
এদিনে ম্যাথুস ক্রিজে আসেন ৪৪ বলে ৫৪ রান দরকার এবং হাতে আট উইকেট। এরপর চান্দিমাল ও চতুরঙ্গের দ্রুত বিদায়ের ফলে ক্যান্ডি কিছুটা চাপে পড়ে যায়। দারুন খেলতে থাকা আসিফ আলি বিদায় নেন ১৯তম ওভারের শুরুর বলেই। এই ওভারে দুই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাথুস স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ১০ রান।
ফলে জয়ের জন্য শেষ ৬ বলে দরকার কেবল ৬ রানের। বেশ দায়িত্ব নিয়েই দলকে ট্রফি জয়ের তীরে নিয়ে আসেন ম্যাথুস। ১ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের জয়। এমন রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে ডাম্বুলা অরাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো লংকা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) চ্যাম্পিয়ন হলো বি লাভ ক্যান্ডি।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ডাম্বুলা করতে পারে ১৪৭ রান। এলপিএলের চার আসর মিলিয়ে ফাইনালে আগে ব্যাটিং করে সর্বনিম্ন স্কোর এটিই। এদিন ডাম্বুলার হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেন ধনঞ্জয়া ডি’সিলভা। ৩ ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৪০ রান করেন।
এছাড়া সাদিরা সামারাবিক্রমা করেন ৩৬ রান এবং কুশল পেরেরা অপরাজিত ৩১ রান (২৫ বল) করেন। এবার বদলে গেল আরও এক পরিসংখ্যান, আগের তিন আসরের চ্যাম্পিয়ন জাফনা কিংস এবার আসতে পারেনি ফাইনালে। প্রথমবার জাফনা ছাড়া কোনো দলের হাতে উঠল এলপিএলের শিরোপা।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.