নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা থেকে পুলিশ এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে। নিহত কিশোরের নাম মোহাইমিনুল ইসলাম (১৭)। সে উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বয়ান চেয়ারম্যান বাড়ির আবুধাবি প্রবাসী জহিরুল ইসলামের ছেলে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে, একই দিন দুপুরের দিকে পুলিশ উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধ আবুল বয়ান চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে বিনামূল্যে চিকিৎসা পেল ২৫০ জন চক্ষু রোগী
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহতের পিতা- মাতা প্রবাসে থাকেন। ওই কিশোর তার দাদা-দাদীর সাথে থাকতো। চলতি বছর মাধ্যমিক পাস করেছে।উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তির জন্য আবেদন করেছিল।
সে তৃষা নামের এক মেয়ের সাথে প্রণয় ঘটিত বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যকে কেন্দ্র করে শুক্রবার গভীর রাতে নিজ শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে শনিবার সকালের দিকে পরিবারের সদস্যরা তার শয়ন কক্ষে ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়।
সোনাইমুড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মো.সুলতান আহছান উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে ওই কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
ওসি তদন্ত আরও বলেন, নিহত কিশোরের শয়ন কক্ষের দেয়াল ও মেঝেতে তৃষা নামে এক মেয়ের নাম লেখা আছে অনেকবার। ধারণা করা হচ্ছে, প্রণয় ঘটিত বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের জের ধরে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.