২০১৭ সালে প্রথম মুক্তা চাষ শুরু করেন এ গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা কবির। ইউটিউব দেখে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ১ হাজার ঝিনুক সংগ্রহ করেন তিনি। তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে আসেন বেকার শিক্ষিত যুবকরা।
পুকুরে মাছের সঙ্গে মুক্তা চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। ২০-২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগে ৩-৪ লাখ টাকার মুক্তা বিক্রি করছেন উদ্যোক্তারা। উৎপাদিত মুক্তা বিভিন্ন গহনার দোকানে প্রতি পিস আড়াইশ’ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করেন উদ্যোক্তারা।
মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, মুক্তা চাষে ঝুঁকি কম ও লাভজনক হওয়ায় আগ্রহীদের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
আড়াই বিঘার পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি এক পাশে ৩ ফুট পরপর দড়ি টানিয়ে ঝিনুকের ভেতরে চাষ করা হচ্ছে মুক্তা। নিচে রয়েছে এক ফুট পরপর নেট, যেখানে সাজানো আছে ঝিনুক। একেকটি নেটের ফ্রেমে রয়েছে ২০টি জীবন্ত ঝিনুক। ঝিনুকের থলে ওপরে ভাসমান দড়িতে রয়েছে ফাঁকা প্লাস্টিকের বোতল।
একাধিক পুকুরে মাছের সঙ্গে ঝিনুকের ভেতরে মুক্তা চাষের এমন চিত্র নওগাঁর আত্রাই উপজেলার জগদাস গ্রামে। এ গ্রামের ২০ থেকে ২২ জন শিক্ষিত যুবক মুক্তা চাষের মাধ্যমে ভাগ্যবদলের স্বপ্ন দেখছেন।
ইবাংলা/এইচ/০৬ নভেম্বর, ২০২১