গত ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় প্রকাশ হলো গায়ক, গিটারিস্ট ও কম্পোজার তানভীর সালেহীন রোমেল এর নতুন গান ‘এ শহর’। নিজের নামেই রয়েছে তার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলটি। এবছর তার আরো ২ টি একক গান প্রকাশ পাবে।
‘এ শহর’ গানের কথা ও সুর করেছেন জামি। গানটির মিউজিক কম্পোজিশন, মিক্সিং এবং মাস্টারিং করেছেন শিল্পী নিজেই তার স্টুডিওতে। গানটির ভিডিওগ্রাফি করেছেন অনিক খান।
আরও পড়ুন… হিজাব নিয়ে কটুক্তিকারি শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডিসিকে স্মারকলিপি
গানটি সম্পর্কে শিল্পী বলেন, সফ্টরক ধারার এ গানটি নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। গানটির মিউজিক ও ভিডিও সবকিছুই খুব যত্ন করে করা হয়েছে। ঢাকার ভিতরে ও বাইরের বেশ কিছু জায়গায় গানটির ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
তানভীর সালেহীন রোমেল এর জন্ম ও শৈশব কেটেছে ঢাকার মালিবাগে। বাবা-মা দুজনই ছিলেন চাকুরীজীবী। ৫ম শ্রেণীতে ওঠার পর শিশু একাডেমিতে গান শেখা দিয়ে শুরু হয় তার সংগীত জীবন। কিন্তু কিছুদিন শেখার পরেই বিরতি আসে গান শেখায়।
৭ম শ্রেনীতে ওঠার পর তিনি বুলবুল ললিত কলা একাডেমীতে ৬ মাস হাওয়াইয়ান গিটার শিখেছেন। সবশেষে ৯ম শ্রেনীতে উঠে স্প্যানিশ গিটার শেখার মধ্য দিয়েই তার প্রকৃত ওয়েস্টার্ন ব্যান্ডের গানের প্রেমে পড়ে যাওয়া এবং প্রকৃত সংগীতের শুরুটা বলতে গেলে তার এই সময় থেকেই।
রোমেল এর বাবা-মা গান শুনতে পছন্দ করতেন তাই ছোটবেলায় তার বাসায় মান্না দে, হেমন্ত, সতীনাথ, চিত্রা সিং, আরতি মুখার্জী এর গান বাজতো।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে পাঁচ ফার্মেসিকে জরিমানা
এছাড়াও তার বাবা দেশের বাইরে গেলে ছেলের জন্য led zeppelin, Elvis Presley, Beatles, Black Sabbath এসব ওয়েস্টার্ন ব্যান্ডের ক্যাসেট নিয়ে আসতো। এভাবেই তানভীর সালেহীন রোমেল এর ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন গান শুনতে শুনতে তার প্রকৃত শিল্পী হয়ে ওঠা।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে রোমেল গিটার হাতে তুলে নেন এবং বছর খানেক পরে ১৯৯৭ সালে লীড ভোকাল ও গিটারিস্ট হিসেবে “DEZZEL” ব্যান্ডে যোগ দেন। সে বছর এই ব্যান্ডের হয়ে রেকর্ড সংখ্যক লাইভ শো করেন। ১৯৯৮ সালের শুরুতে তিনি ‘Fate n Shriek’ নামে একটি ব্যান্ডে যোগ দেন যেখানে আরও ছিলেন মার্শাল, তোফা, ইউনুস এবং হিমেল।
কিন্তু ৩ মাস পরই সেই ব্যান্ড গ্রুপ ভেঙ্গে যায়। পরবর্তীতে তিনি নিজের ব্যান্ড গ্রুপ শুরু করার জন্য প্রতিভাবান মিউজিশিয়ান খুঁজতে থাকেন এবং ১৯৯৮ সালে তিনি ‘Fusion’ নামে ব্যান্ড গ্রুপ গড়ে তোলেন।
আরও পড়ুন…ইবি রেজিস্ট্রারকে মেইল করে র্যাগিংয়ের অভিযোগ, আতঙ্কিত বাবা
‘Fusion’ ব্যান্ডের লাইন আপে ছিলেন- রোমেল ( লীড ভোকাল ও গিটারিস্ট), শাকিল (লীড গিটারিস্ট), মিন্টু (কিবোর্ডিস্ট), রিংকু (ড্রামস) এবং বাদল (বেজিস্ট)।
পড়াশোনার জন্য বাদল বিদেশে চলে গেলে তার জায়গায় যোগ দেয় মামুন। টানা চার মাস কঠিন অনুশীলনের পর ‘Fusion’ ব্যান্ড লাইভ শো শুরু করে এবং সারাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ে তাদের গান ও চমৎকার পারফরমেন্স।
এর পর ব্যান্ড সদস্যদের পড়াশুনা, বিদেশ চলে যাওয়া ও ব্যাক্তিগত কারণে ২০০৩ সালে ‘Fusion’ ব্যান্ডের কার্যক্রম সাময়িক ভাবে থমকে যায়। কিন্তু রোমেল থেমে থাকেননি।
আরও পড়ুন…পুলিশী অভিযানে সাজেকে উদ্ধার হলো অপহৃত ঢাবি শিক্ষার্থী দ্বীপিতা
২০০৫ সালে রোমেল ৯০ দশক এর জনপ্রিয় “মনিটর” ব্যান্ড গ্রুপে যোগ দেন এবং লীড গিটারিস্ট হিসেবে ১ বছর অনেক শো করেছেন। এরপর শিক্ষাজীবনে এমবিএ শেষ করে একটি মাল্টিন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানীতে কর্মজীবন শুরু করেন।
২০০৭ সালে রোমেল জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী দিলশাদ নাহার কনা’র সাথে সর্বমোট ১০টি গান নিয়ে একটি ডুয়েট অ্যালবাম “রং করা পুতুল” প্রকাশের মাধ্যমে একক শিল্পী হিসেবে সংগীত জগতে তার যাত্রা শুরু করেন এবং ২০০৮ সালে আবারো তার ‘Fusion’ ব্যান্ড নিয়ে লাইভ শো শুরু করেন। এ পর্যন্ত তার স্টেজ শো বা লাইভ কনসার্ট কয়েক হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
কর্পোরেট জীবনে কাজ করার পাশাপাশি ২০০৯ সালের দিকে তিনি সহ সেই কোম্পানিতেই কর্মরত মিউজিক প্রেমী সহকর্মীদের নিয়ে গড়ে ওঠে আনঅফিসিয়াল কর্পোরেট ব্যান্ড যেটা পরবর্তীতে ২০১৭ সালে রবি কোম্পানির অফিসিয়াল মিউজিক্যাল ব্যান্ড ‘রবি ব্যান্ড’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ‘রবি ব্যান্ড’ এর এ পর্যন্ত ১২টি মিউজিক ভিডিও ব্যান্ডটির অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে।
আরও পড়ুন…হবিগঞ্জে পিকআপ-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৩
২০১১ সালে রোমেল সংগীত শিল্পীর পাশাপাশি মিউজিক কম্পোজার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেন নিজেকে। এ পর্যন্ত রোমেল যতগুলো একক গান করেছেন তার মধ্যে তার নিজের কথা, সূর ও মিউজিক কম্পোজ করা বেশ কিছু গান রয়েছে।
এছাড়াও বিদেশি ব্যান্ড এর বেশ কিছু ইংরেজি গানের কভার ভিডিও করেছেন তিনি। তার প্রকাশিত একক গান গুলোর ভেতরে ‘ভালোবাসার মায়াজাল’, ‘পুরোনো গিটার’, ‘ভালোবাস আমাকে’, ‘এখন আমায়’, ‘বর্ষা’, ‘এখনো
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.