নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ১২০ টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এক দিনমজুরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মোহাম্মদ সোহেল (৩০) উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ নাজিরপুর গ্রামের মফিজ উল্যাহ মিয়ার বাড়ির মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একজন দিনমজুর ছিল।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে একই দিন সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে চৌমুহনী পৌরসভার ৩নম্বর ওয়ার্ডের আলীপুর এলাকার বলির দোকানের সামনে নিহত সোহেলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন…করোনা: মৃত্যু নেই, শনাক্ত ১৬
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত সোহেল পেশায় একজন দিনমজুর ছিল। শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে চৌমুহনী পৌরসভার আলীপুর এলাকার বলির দোকানের সামনে কাজের ১২০ টাকা নিয়ে ৩নম্বর ওয়ার্ডের আলীপুর গ্রামের ঠাকুর বাড়ির বাহারের ছেলে সোহেল (২৮) নামে আরেক যুবকের সাথে তার কথা-কাটাকাটি হয়।
পরে সোহেলসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন যুবক লোহার রড়,স্ট্যাম্প দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে ভিকটিমকে গুরুতর জখম করে।
পরে তার আত্মীয়স্বজন খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
আরও পড়ুন…এশিয়া কাপের স্বপ্নভঙ্গ টাইগারদের
ঢাকা মেডিকেল কলেজ নেওয়ার পর শনিবার দিবাগত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহতের ভাই মো.রুবেল জানায়, তার ভাইকে মাথার দুটি কোপ দিয়ে গুরুত্বর জখম করে হত্যা করা হয়। তবে হত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌমুহনী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বিকাশ সাহা বলেন, কাজের পাওনা ১২০টাকা দিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। নিহত যুবকের নাম সোহেল।
হামলাকারী যুবকের নামও সোহেল। হামলার ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে গতকাল শনিবার রাতে বেগমগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বেগমগঞ্জ থানায় যাহার মামলা নং-৯। ওই মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তর হবে।
আরও পড়ুন…জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করতে হবে: ড. যশোদা জীবন
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)) মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.