আল্লাহ তায়াআলার শুকরিয়া আদায় করতেই সন্তান জন্মের পর সপ্তম দিনে পশু জবাই করে আকিকা করতে হয়। আকিকা করা সুন্নত। আকিকা শিশুর অধিকার। নবজাতক শিশুর জন্য আকিকা এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, এর ফজিলত বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।
আকিকার ফজিলতের বরকতে নবজাতক শিশুর বালা-মুসিবত দূর হয়ে যায়। নবজাতক শিশু সন্তানের শুকরিয়া আদায়ের নিদর্শন হিসেবে বাবা-মাকে সন্তানের জন্য আকিকা করতে হয়। এ ক্ষেত্রে সন্তান ছেলে বা মেয়ে যা হোক না কেন, উভয়ের জন্য আকিকা করতে হবে।
হজরত মুহাম্মদ (স.) আকিকা করতে উৎসাহ দিয়ে বলেছেন, যে ব্যক্তি সন্তানের আকিকা করার ইচ্ছা করে, সে যেন তা পালন করে। ছেলের জন্য সমমানের দুইটি ছাগল। আর মেয়ের জন্য একটি। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস নং ৭৯৬১)
অন্য একটি হাদিসে তিনি বলেছেন, সন্তানের জন্য আকিকার বিধান হচ্ছে, তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত করবে। সন্তানের শরীর থেকে কষ্টদায়ক বস্তু দূর করে দেবে। (বুখারি, হাদিস নং ৫৪৭২)
হজরত মুহাম্মদ (স.) তার দৌহিত্র হাসান ও হুসাইন (রা.)-এর আকিকা করেছেন সপ্তম দিনে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৮৩৪)
এ ছাড়াও জামে তিরমিজির ১৫২২ নম্বর হাদিসে সপ্তম দিনে আকিকা করার কথা বলা হয়েছে। তাই সম্ভব হলে সপ্তম দিনেই আকিকা করা উত্তম।
সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে চৌদ্দতম দিন বা একুশতম দিনে করা ভালো।
এ প্রসঙ্গে উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা.) বলেন, আকিকা সপ্তম দিনে হওয়া উচিত। তা সম্ভব না হলে চৌদ্দতম দিনে। তাও সম্ভব না হলে একুশতম দিনে। (মুসতাদরাকে হাকেম, হাদিস নং ৭৬৬৯)
আর একুশ দিনের মধ্যেও যদি আকিকা করা না হয় তবে পরে আদায় করা যাবে। স্বাভাবিকভাবে সন্তানের আকিকা করার দায়িত্ব তার বাবার। অবশ্য অন্য কেউ বা নিজেও নিজের আকিকা করতে পারবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.