দীর্ঘ ৫৪ দিন চিকিৎসা শেষে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার রাত ৮টা ১০ মিনিটের দিকে হাসপাতাল থেকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’র উদ্দেশে রওনা হন তিনি।বাসায় পৌঁছান সাড়ে ৮টার দিকে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, হাসপাতালে বেশিদিন থাকলে ইনফেকশনের শঙ্কা থাকে। তাই তাকে (খালেদা জিয়া) বাসায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড।
এর আগে গত ৩ জুন বিকালে খালেদা জিয়া হাসপাতালের সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) থেকে কেবিনে নেওয়া হয়। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ই বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে সেদিন বলেছিলেন, চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তবে এখনো করোনা পরবর্তী বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে।পুরোপুরি সুস্থ হলেই তাকে বাসায় নেওয়া হবে।
গত ১১ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ৩ মে তার শ্বাস কষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে স্থানান্তর করা হয়। ৮ মে তৃতীয় দফা নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা ফল নেগেটিভ আসে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের সদস্যরা তাকে বিদেশ নেওয়ার সুপারিশ করেন। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বিদেশ যাওয়ার অনুমিত চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্ত শেষ পর্যন্ত সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
এদিকে করোনা মুক্ত হলেও পরবর্তী বেশ কিছু জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। কিডনি, ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা দেখা দিলে তাকে সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা করানো হয়। মাঝেমধ্যে তার হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও ওঠানামা করে।
তবে তার ব্যক্তিগত এক চিকিৎসক জানান, বর্তমানে চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে। কিডনি সমস্যাও কমার দিকে। কিছুদিন আগে জ্বর আসলেও তা পুরোপুরি সেরে উঠেছেন।
ই বাংলা/ আই/ ১৯ জুন, ২০২১