বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বেশ সরব অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায় ওয়াশিংটন। আর তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নতুন ভিসানীতি চালু করা হয়েছে। এর আওতায় ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বাধাদানকারীদের’ বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে সভার পর এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন>> ডেঙ্গুতে আরো ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৬০৯
মার্কিন উপ-সহকারী মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নির্বাচন কেবল ভোটের দিনের বিষয় নয়। বরং এর মানে হচ্ছে, ভোটের আগের এই মাসগুলোতে নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও বিভিন্ন পক্ষ যাতে অবাধে গণতান্ত্রিক চর্চায় সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পায়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র সবসময় বলে আসছে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য হবে।
আফরিন আখতার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক বিদ্যমান। এর মধ্যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাণিজ্য এবং বিনিয়োগে দীর্ঘস্থায়ী উন্নয়নের অংশীদার। অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন চায়। রোহিঙ্গাদের কোনোমতেই জোর করে মিয়ানমারে পাঠানো যাবে না। কারণ মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। ওখানে এখনো সামরিক দাঙ্গা চলছে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সংকটে সবচেয়ে বড় দাতা দেশ জানিয়ে আফরিন বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে ২০১৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত ২২০ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তা দিয়েছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের পছন্দমতো গ্রামে বসতি স্থাপন করতে এবং সেখানে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে মানবিক সহায়তা পাঠানোর অনুমোদন দিচ্ছে না। তাই এটা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত সময় বলে আমি মনে করছি না।
এর আগে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সকালে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.