বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর রামপুরায় অবস্থান নিয়ে মিছিল করেছে দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে পিকেটিংয়ের সময় সেখানে ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহসম্পাদক আবদুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, মহানগর বিএনপি নেতা ভিপি সামছুল ইসলাম শামছু, যুবদল নেতা শাওন, মহানগর উত্তর বিএনপির ফয়েজ আহমেদ ফরু, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি দীপু সরকার, রামপুরা থানা বিএনপির হেলাল কবির, সোহেল রানা, রেজাউল করিম, নিলুফা ইয়াসমিন নীলু, যুবনেতা কফিল উদ্দিন, বিএনপি নেতা তৌহিদ হোসেন, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ দুলু প্রমুখ।
আরও পড়ুন>> মির্জা আব্বাস ও আলাল গ্রেপ্তার
এ সময় রিজভী আহমেদ বলেন, আমাদের আন্দোলন জনগণের আন্দোলন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও অধিকার আদায়ের আন্দোলন। হুমকি দিয়ে, গুলি করে হত্যা করে, দমনপীড়ন করে এ আন্দোলন দমানো যাবে না। এবার জনগণের অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করেই বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে।
শনিবারের (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশ পণ্ড এবং সেখানে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রোববার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যার হরতাল পালিত হয়েছে। এরপর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা করেন, ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা অবরোধ পালন করবে বিএনপি ও এর শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ।
অন্যদিকে, সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সারা দেশে তিন দিনের (৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর) সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.