বরগুনায় গ্রেফতার আতংক ও পুলিশি হয়রানিতে বাড়ি ঘর ছাড়া বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী। তবুও গায়েবি মামলায় আসামি হওয়া থেকে রেহাই পাচ্ছে না নেতাকর্মীরা।
বরগুনা জেলা বিএনপি দলীয় সূত্রের বরাতে এক সাক্ষাতে একথা জানান বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান খান জাকির।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন বিএনপি করেন বা কমিটিতে যাদের নাম রয়েছে,এমন নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে পুলিশ রীতিমত তল্লাশি চালাচ্ছে এবং তল্লাশি নামে বিভিন্নভাবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকেও হয়রানি করছে।
আরও পড়ুন…ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১৯১২
অপরদিকে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের যেখানে যে অবস্থায় পাচ্ছেন্ সেখান থেকেই পুলিশ গ্রেফতার করে মিথ্যা গায়েবি মামলায় আসামি করে এবং পুরনো মামলায় আসামী দেখিয়ে তাৎক্ষণিক জেল হাজতে প্রেরণ করছেন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির স্থানীয় একাধিক নেতা।
বিএনপির একাধিক নেতারা জানান, পুলিশ ক্ষমতাশীন দলের লোকজন নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করার তালিকা তৈরি করেছেন।
এ তালিকায় দলীয় ভাবে বরগুনা জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন অর্থাৎ দল পরিচালনার জন্য সর্বোচ্চ অর্থ দাতাদের নামের একটি তালিকা করারও অভিযোগ রয়েছে। এবং সেই তালিকায় বরগুনা জেলায় অর্থদাতা হিসেবে সর্ব প্রথম ১ নম্বর স্থানে রয়েছেন সংসদীয় আসন ১১০ বরগুনা-২(বামনা পাথরঘাটা বেতাগী) উপজেলার মোঃ মিজানুর রহমান খান জাকির।
আরও পড়ুন…খালেদা জিয়ার বিদেশ চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রীকে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের চিঠি
যুবদল নেতা রায়হান নাজির ধলু জানান,পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের রাস্তাঘাটে দেখলেই তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে, গ্রেফতার করে তাকে হয়রানি করার জন্য তার দেহ তল্লাশির নামে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি করে।এমনকি তাদের মোবাইল ফোনে বিএনপি নেতাদের ছবি অথবা কোন বিএনপি কর্মসূচির পোস্ট বা পোস্টার সম্মলিত ব্যানার ফেস্টুন পেলেও তাৎক্ষণিক ওই নেতাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
বিএনপি নেতা আবদুল জলিল বলেন, বরগুনা-২ আসন থেকে বিএনপি প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান খান জাকির (জাকির খান) বামনা উপজেলা বিএনপির সম্মানিত সদস্যের নাম বামনা উপজেলা ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক দেয়া লিস্টের তালিকায় এক নম্বরে উঠে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার দিন স্থানীয় আওয়ামী লীগ বামনা থানায় বিএনপি করে এমন একটি ১৪৮ জনের তালিকা ওসির নিকট জমা দিয়ে আসছেন।
সে লিস্ট অনুযায়ী পুলিশ বিএনপি নেতা কর্মীদের নামে গায়েবি মামলা দায়ের করেছেন এবং বিগত দিনের পেন্টিং পুরানো মামলায় যাকে-তাকে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে জাকির খানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে ইতিমধ্যে হিসেবে বেশ কিছু কথা বলেছেন এবং বরগুনা জেলা বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে হয়রানি না করার জন্য এবং গ্রেপ্তার না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে শত অনুরোধ ও বাধা প্রদানের পরেও পুলিশ গ্রেফতার করে পুরানো মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন…প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ পেছাল
বামনা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খন্দকার মহিদুল ইসলাম মোর্শেদ বলেন, মো: মিজানুর রহমান খান জাকির(জাকির খান) বরগুনা-২ (বামনা পাথরঘাটা বেতাগী) সহ বরগুনা জেলার সকল ইউনিটি ওয়ার্ড ইউনিয়ন পৌরসভা উপজেলায় সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড,ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, সমাজের বিভিন্ন আর্থসামাজিক কাজে সম্পৃক্ত থাকেন।
যেমন মিলাদ মাহফিল, মসজিদ-মাদ্রাসা এতিমখানা, হিন্দুদের পূজা পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠানের সময় সাহায্য সহযোগিতা করা সহ সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিকভাবে দীর্ঘদিন যাবত সহযোগিতা করে আসছেন।
দীর্ঘদিন থেকে বরগুনা জেলার বিভিন্ন ইউনিটে এমনকি বিএনপি’র বিভিন্ন ওয়ার্ড ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের অফিসে বিভিন্ন রকম অর্থনৈতিক সহযোগিতা করে আসছেন। দীর্ঘদিন সম্পৃক্ত ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
তিনি আরো বলেন, বরগুনা জেলাসহ ছয়টি উপজেলা, চারটি পৌরসভা, মোট ১০টি সাংগঠনিক ইউনিটের সকল নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণকে এক চোখেই দেখেন এবং প্রত্যেকটা উপজেলায় ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানা ও পূজা মন্ডপের সাহায্য সহযোগিতা দীর্ঘদিন যাবৎ করে আসছেন এর বহু প্রমান রয়েছে যাহা একক ভাবে সমোহারে যথাসম্ভব অর্থনৈতিক ভাবে দীর্ঘদিন যাবত সহযোগিতা করে আসছেন এবং তার নিজ উপজেলা বামনা উপজেলায় বসবাসরত সকলকেই এক চোখে দেখেন এবং তার সামর্থ্য অনুযায়ী যে কারোই বিপদের কথা শুনলে অথবা তাকে জানালে সর্বসময় সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন।
আরও পড়ুন…গাজীপুরে শর্মিলি পরিবহনের বাসে আগুন
বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও বামনা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ রানা বলেন, আমাদের চলমান শান্তিপূর্ন কর্মসূচীতে পুলিশ সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে বাধা দিচ্ছে এবং মিথ্যা গায়েবি মামলায় আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমি ও জাকির খান এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের নি:শ্বর্ত মুক্তির দাবি করছি।
সম্প্রতিতে বামনা থানা পুলিশ উপজেলা শ্রমিক দলের আহবায়ক জসিম উদ্দিন ইমনকে গ্রেফতার করে জামায়াত-শিবিরের পুরনো একটি মামলায় জেল হাজতে পাঠিয়েছে যা আসলেই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে বরগুনা পুলিশ সুপার মো: আবদুস ছালাম জানিয়েছেন, বরগুনায় সকল প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সার্বক্ষনিক জেলা পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবেন।
ইবাংলা বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.