বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা ধরে রেখেই সামনে এগিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিজয় সরণিতে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তার স্বপ্ন ছিল প্রতিটি মানুষের ঘর থাকবে, চিকিৎসা ও শিক্ষা পাবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নেই কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশে রূপান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>> পৃথিবীর কোথাও গণতন্ত্র পারফেক্ট নয়, ত্রুটি আছে: কাদের
সরকার প্রধান বলেন, সারা দেশে ওয়াইফাই সুবিধা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ আধুনিক সব প্রযুক্তি স্থাপনা করে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপ দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়েছে দেশের মানুষ।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতি যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছে। কাজেই আমরা বিজয়ী জাতি হিসেবে মর্যাদা পেয়েছি। জাতির পিতার এ ভাস্কর্য শুধু একটা ভাস্কর্যই নয় বরং এটা একটা ইতিহাস, আমাদের দেশকে জানার ইতিহাস।
তিনি আরও বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যে মর্যাদা পেয়েছি তা ধরে রেখেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আজকের দিনের শিশুরা আগামী দিনের সৈনিক, তারাই স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে এবং বাংলাদেশ পরিচালনা করবে। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিশু কিশোরদের কাছে প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, ‘পারবে না তোমরা?’
অনুষ্ঠানস্থলে থাকা শিশুদের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘ছোট বেলায় তোমরা শিশুরা অনেকেই তো বাবা-মায়ের হাত ধরে স্কুলে যাও। কিন্তু আমাদের সেই সৌভাগ্য হয়নি। আমাদের বাবা থাকতেন কারাগারে। মাসে দুবার যেতে পারতাম। জেল গেটে দেখা করতে গেছি স্কুল থেকে, কলেজ থেকে, ইউনিভার্সিটি থেকে। এই ছিল আমাদের জীবন। কিন্তু আমাদের কোন ক্ষোভ ছিল না। আমরা জানি আমাদের বাবা সংগ্রাম করছেন, এ দেশের মানুষের জন্য।’
দেশের ৯৮ ভাগ শিশু এখন স্কুলে যেতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রাম পর্যায়ে সেভাবে স্কুল করে দিচ্ছি, বিনামূল্যে বই দিচ্ছি, বৃত্তি দিচ্ছি যেন কেউ বাদ না যায়। দরিদ্র মা-দের মোবাইল ফোনে সরাসরি বৃত্তির টাকা পৌঁছে দিচ্ছি। এভাবেই কিন্তু আমরা উদ্বুদ্ধ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাই বড় সম্পদ, যা কেউ ছিনিয়ে নিতে বা চুরি করতে পারবে না। সেই শিক্ষা থাকলে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশকে আরও উন্নত সমৃদ্ধ করা যাবে।
বিজয় সরণিতে এই ভাস্কর্য স্থাপনের কারণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাশে জাতীয় সংসদ এবং এই এলাকা দিয়ে যেহেতু আন্তর্জাতিক ও দেশের অনেক মানুষ যাতায়াত করে সে কারণেই ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য এই জায়গাটি বেছে নেওয়া হয়েছে। ১৯৫২ সাল থেকে শুরু করে আমাদের সব ইতিহাস সুন্দর করে এখানে তুলে ধরা হয়েছে। এসময় এ কাজের সঙ্গে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.