দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে নৌকার কাণ্ডারি হিসেবে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের নাম ঘোষণার পর চারিদিকে শোরগোল পড়ে যায়। মাঠের রাজনীতিতে না থেকেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়। তবে এসব পেছনে ফেলে নির্বাচনে লড়ছেন জনপ্রিয় এই নায়ক। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা-১০ আসনে বাতিল হওয়া প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির কে এম শামসুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী শাহরিয়ার ইফতেখার, তৃণমূল বিএনপির শাহনুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী রবিউল ইসলাম,স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফুল হাসান, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রার্থী এইচ এম মাসুম বিল্লাহ এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফন্টের বাহারানে সুলতান বাহার।
অন্যদিকে এই আসনে মনোনয়ন বৈধ হয়েছে জাকের পার্টির প্রার্থী হুমায়ন কবীর, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফেরদৌস আহমেদ এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাজী মো. শাহজাহানের।
এরপর সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফেরদৌস আহমেদ বলেন, আজকের দিনটি আমার জীবনের একটি বিশেষ মুহূর্ত। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে টেনশনে ছিলাম আমি কোথাও ভুল ভ্রান্তি করেছি কি না, আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায় কি না। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছি, আমি নির্বাচনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করবো।
বিএনপি নির্বাচনে না আসা প্রসঙ্গে ফেরদৌস বলেন, এটাটা তাদের সিদ্ধান্ত। তারা প্রতিযোগিতায় না এলে এখানে আমার কিছু বলার নেই। তার ভাষ্য, যে কয়জন প্রার্থী ঢাকা- ১০ টাকা আসনে মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে তাদের মধ্যে এত প্রতিযোগিতামূল ইলেকশন হবে।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, আমি সবার কাছে অনুরোধ জানাবো আপনারা ভোটকেন্দ্রে আসুন এবং আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিন।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.