বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এবং স্বতন্ত্রসহ ৭৫ জন প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাদের মধ্যে কিছু প্রার্থীকে একাধিকবার শোকজ করা হয়েছে। আবার কোনো কোনো প্রার্থীর শোকজের জবাব সন্তোষজনক নয় বলেও জানিয়েছে কমিশন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এবারের সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত ২৯টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট দুই হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাদের মধ্যে এক হাজার ৯৮৫ জনের প্রার্থিতা বৈধ এবং বাকি ৭৩১ জনের প্রার্থিতা বাতিল ঘোষণা করে কমিশন।
আরও পড়ুন>> শাহজাহান ওমরের সমর্থনে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মীর পদত্যাগ
ভোটের ৫২ দিন আগে গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। এছাড়া মনোনয়নপত্র জমার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই সম্পন্ন হয়েছে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।
এদিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে মনোনয়নপত্র বিষয়ে আপিল আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণ আদেশের বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী বা ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান রিটার্নিং অফিসারের আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পরবর্তী ৫ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি আকারে (আপিলের মূল কাগজপত্র ১ সেট ও ছায়ালিপি ৬ সেটসহ) আপিল দায়ের করতে পারবেন।
আপিল আবেদন গ্রহণের জন্য আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে দেশের ১০টি অঞ্চলের জন্য ১০টি বুথ করা হয়েছে। এসব বুথে থাকা ১০ জন কর্মকর্তার কাছে আপিল আবেদন জমা দিতে হবে। ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১০০টি করে আপিল আবেদন ক্রমানুসারে নিষ্পত্তি করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আপিল আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের ফলাফল মনিটরে প্রদর্শন, আপিলের পর রায়ের পিডিএফ কপি ও আপিলের সিদ্ধান্ত রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইমেইলের মাধ্যমে পাঠানো হবে এবং নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.