গাজায় যুদ্ধ রোববার ১০০তম দিনে প্রবেশ করেছে। যুদ্ধটি ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে তাদের দশকের দীর্ঘ সঙ্ঘাতের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ও ধ্বংসাত্মক।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ইসরাইলি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক এবং সাহায্য সংস্থার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে এ যুদ্ধের বিধ্বংসী পরিস্থিতির অবস্থা বর্ণনা করেছে বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।
মৃত্যু
গাজায় কমপক্ষে ২৩ হাজার ৭০৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। অধিকৃত পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে ৩৪৭ জন ফিলিস্তিনি। এছাড়া ইসরাইলে নিহত হয়েছে এক হাজার ৩০০ জনেরও বেশি।
গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ
গাজার ৪৫ থেকে ৫৬ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত ও ধ্বংস হয়েছে। আংশিকভাবে চিকিৎসা সেবা দিতে পারছে গাজার ৩৬ হাসপাতালের মধ্যে মাত্র ১৫টি। ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের পাঁচ লাখ ৭৬ হাজার ৬০০ জন ভয়াবহ ক্ষুধা ও অনাহার সম্মুখীন হয়েছে। গাজায় ৬৯ শতাংশের বেশি স্কুল-ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪২টি মসজিদ, তিনটি গির্জা, ১২১টি অ্যাম্বুলেন্স। স্কুলে যেতে পারছে না ছয় লাখ ২৫ হাজার শিক্ষার্থী।
আহত
গাজায় ৬০ হাজার পাঁচজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। ইসরাইলে আহত হয়েছে ১২ হাজার ৪১৫ জন। এছাড়া ৭ অক্টোবর আহত হয়েছে দুই হাজার ৪৯৬ এবং স্থল আক্রমণে এক হাজার ৮৫ জন ইসরাইলি সেনা সদস্য।
বাস্তুচ্যুত
গাজায় ১৮ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণ সীমান্ত সম্প্রদায় থেকে বাস্তুচ্যুত দুই লাখ ৪৯ হাজার ২৬৩ ইসরাইলি। এছাড়া পশ্চিম তীরে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক হাজার ২০৮ জন ফিলিস্তিনি।
বন্দী
৭ অক্টোবর বন্দী হয়েছে ২৫০ জন। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীর সংখ্যা ১২১ জন। এছাড়া গাজা উপত্যকায় অবশিষ্ট বন্দীর সংখ্যা ১৩৬। হামাসের বন্দীদশায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। যুদ্ধে সপ্তাহব্যাপী বিরতিতে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দী মুক্তি পেয়েছে।
যুদ্ধাস্ত্র
গাজায় ফেলা হয়েছে ২৯ হাজার বোমা, গোলাবারুদ ও শেল। ইসরাইলের দিকে ১৪ হাজার রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
সূত্র : আল জাজিরা
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.