বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, রোজার আগেই ভারত থেকে ১ লাখ মেট্রিক টন চিনি এবং ৫০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসবে। রোজায় এক কোটি পরিবারকে ছয়টি পণ্য (চাল, তেল, চিনি, ডাল, খেজুর ও ছোলা) ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন>> রমজানে ৬০০ টাকায় মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজান উপলক্ষে আমরা ১ কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। সেখানে চাল, তেল, চিনি, ডাল, খেজুর ও ছোলা থাকবে। এই পণ্যগুলোর বিতরণ যেন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়, সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর এই তালিকাটা ২০২০ সালে করোনার সময় করা। এই তালিকাটা আপডেট করার জন্য তাদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছি। তারা যেন আগামী ২ মাসের মধ্যে সংযোজন ও পরিবর্তন করে পরিপূর্ণ একটি তালিকা দেয়।
তিনি বলেন, তেলের শুল্ক কমানোর জন্য তেলের দাম ১০ টাকা কমেছে। রোজাকে সামনে রেখে সব পণ্যের যথেষ্ট পরিমাণ সরবরাহ আছে। রোজায় কোনও পণ্যের দাম বাড়বে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং বাজারে অব্যাহত আছে। কেউ এবার কারসাজি করতে পারবে না।
দ্রবমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং অব্যাহত রাখতেও ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছর থেকে ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি না করে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। সারাদেশে আমাদের ৭ হাজার ৭০০ এর মতো টিসিবির ডিলার আছে। এই ডিলাররা প্রাথমিকভাবে ট্রাকে এবং পরে খোলা জায়গায় পণ্য বিতরণ করতো। এতে মানুষের অনেক কষ্ট হয়। একটি দিন চলে যায় টিসিবির পণ্যের একটি প্যাকেজ নিতে। এটা স্থায়ী দোকানে কীভাবে ডিলার নিয়োগ করতে পারি, সে ব্যাপারেও আমরা আগামী দুই মাসের মধ্যে জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শ অনুযায়ী জনপ্রশাসন এই তালিকা আমাদের পাঠাবে। আগামী অর্থবছরে আমরা আশা করি স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির পণ্যগুলো দিতে পারব।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.