ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের গোষণা দিয়েছেন তিনি। সোমবার (২২ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। খবর রয়টার্স’র।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের পর বছর ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞ এবং বারবার ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান আল আকসা মসজিদের অবমাননার জবাবে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সে সময়ই হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার দায় স্বীকার করেছিলেন ইসরাইলি সামরিক গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা।
পাশাপাশি হামাসের ওই হামলাকে ইসরাইলের ইতিহাসে সবচেয়ে বিধ্বংসী হামলা’ অভিহিত করে আরও বেশ কয়েজকজন সিনিয়র ইসরাইলি কমান্ডারও বলেছিলেন, তারা হামলার পূর্বাভাস ও প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
ওই হামলার প্রায় সাত মাস পর সামরিক গোয়েন্দা প্রধানের পদত্যাগের খবর এলো। তবে তিনি কবে পদত্যাগ করেছেন তা জানানো হয়নি। তবে পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, আমার কমান্ডের অধীনে গোয়েন্দা বিভাগ আমাদের যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছিল তা পালন করেনি। তখন থেকেই সেই কালো দিনটি আমার সঙ্গে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি।
সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি এবং দেশীয় গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেট প্রধান রনেন বার উভয়েই হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু তারা এখনও নিজ নিজ পদে বহাল রয়েছেন।
এর আগে, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে ঢুকে কোনও ধরনের বাধা ছাড়াই বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালায়। ওই হামলায় অন্তত এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত ও ২৫০ জনের বেশি মানুষকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে হামাস। হামাসের হামলার দিন থেকেই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৯৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৬ হাজার ৯৮০ জন।
এদিকে গাজার খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালে একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে কয়েক মাস অভিযান চালানোর পর সম্প্রতি সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। ওই গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত ১৮০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.