দীর্ঘ ১৭ বছর পর পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে মো. জসিমউদদীনকে সভাপতি ও রবিউল ইসলাম রুবেলকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
বুধবার (৭ মে) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে ২০০৮ সালে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং ২০২৩ সালে ছাত্রদলের একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল কলেজটিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার অধীনস্থ সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হলো। এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির আজ এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন।
১৬৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে একজন সিনিয়র সহ-সভাপতিসহ ৪০ জনকে সহ-সভাপতির দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এবং একজন সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ ৫০ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২৬ জনকে সহসম্পাদক, ১ জন সাংগঠনিক সম্পাদক, ৮ জন সহ সাংগঠনিক সম্পাদক, ১ জন প্রচার ও ৩ জন সহ-প্রচার সম্পাদক, ১ জন দপ্তর সম্পাদক এবং ১ জন সহ-দপ্তরসহ অন্যান্য পদে একজন করে রাখা হয়েছে। উক্তি কমিটিতে মোট ২০ জনকে সদস্য হিসাবে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কমিটির প্রকাশের পর নবনির্বাচিত সভাপতি জসিমউদদীন বলেন, এতদিনপর কমিটি পেয়ে আমরা আনন্দিত। এতদিন যারা সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদলের পক্ষ হয়ে রাজপথ আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন তারাই কমিটিতে স্থান পেয়েছে। আমি আশা করি যারা কমিটিতে স্থান পেয়েছে তারা প্রত্যেকে ঐক্যবদ্ধভাবে জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে গনতন্ত্র পূর্নরুদ্ধারে একসাথে কাজ করবে।
বর্তমান সময়ে কমিটি পরিচালনা করার ক্ষেত্রে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই চ্যালেঞ্জ আছে তবে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাত্রদল কোনো চ্যালেঞ্জকে চ্যালেঞ্জ মনে করে না। কারণ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের পক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি পাশাপাশি বাংলাদেশের ভূলুণ্ঠিত গণতন্ত্র রক্ষায় এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং সামনেও করবো।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার রক্ষায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি এসব করতে গিয়ে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে কারাবরণ করতে হয়েছে তাই এসমস্ত চ্যালেঞ্জকে আমরা চ্যালেঞ্জ মনে করি না।
খুব শিগগিরই কমিটির সকলকে নিয়ে ক্যাম্পাসে যাবে বলেও জানান তিনি।
কমিটির বিষয়ে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেল বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর কমিটি দিয়েছে সাধারণ ভাবেই তো এটা আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল। আমাদের ছেলেপেলে সবাই পরিচয় পেয়েছে স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের ভালো লাগছে। আন্দোলন সংগ্রামে যাতে ভূমিকা রাখতে পারি এইজন্যই হয়তো দল আমাদের এত সুন্দর একটি কমিটি উপহার দিয়েছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে রুবেল বলেন, ছাত্রদের ভিতরে আমাদের জনমত গড়ে তুলবো। কিভাবে নতুন নতুন ছাত্রদের আমাদের মধ্যে নিয়ে আসতে পারি সে বিষয়ে গুরুত্ব দিব। এবং আমাদের সমমনা ছাত্রদের নিয়ে একসাথে ক্যাম্পাসে অবস্থান করবো। এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবিদাওয়া আদায়ে কাজ করবো।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.