সরকারি গাড়ীচালকদের সাত দফা দাবি। এ দাবি বাস্তবায়নে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ সরকারি গাড়িচালক সমিতি। এই ৭দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি গাড়িচালক সমিতির নেতারা। শনিবার (০১ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন…যারা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে তাদের সঙ্গেই চলবো– প্রধানমন্ত্রী
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার রানা, সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক সুজন, সহ-সভাপতি মো. মাহাবুব আলম চৌধুরী, মো. কবির হোসেন, মো. নুর করিম, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. হুমায়ুন কবির, মো. রানা হাওলাদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম নুরু, উপদেষ্টা আবুল কাশেম, আমিনুল ইসলাম, আলাউদ্দিন প্রমুখ।
লিখিত বক্তৃতায় আব্দুর রহিম হাওলাদার রানা বলেন, ২০১৫ সালে সরকার বৈষম্য রেখে জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করেছিল। শুধু কর্মকর্তারা ওই পে-স্কেলের সুবিধাভোগী হয়েছেন। সরকারি গাড়িচালকসহ কোনো কর্মচারী ওই সুবিধা পায়নি। সরকারি গাড়িচালকসহ কর্মচারীদের মানোন্নয়নে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে নবম পে-স্কেল ঘোষণার জোর দাবি জানাচ্ছি। দাবি আদায় না হলে প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশ, মানববন্ধন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ৭ দফা দাবি মহান সংসদে ঘোষণা না হলে বাংলাদেশের সব সরকারি গাড়িচালক কর্মবিরতির মতো কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- বৈষম্যহীন নবম জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা, পে-কমিশনে সরকারি গাড়িচালকদের প্রতিনিধি রাখা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ঘোষিত ১৯৭৩ সালের ১০ ধাপে নবম পে-স্কেল বাস্তবায়ন, সর্বনিম্ন গাড়িচালকদের বেতন পঁচিশ হাজার টাকা, হেবি স্কেল ২৮ হাজার টাকা করা ও সর্বোচ্চ বেতনের পার্থক্য ১৫ হতে হবে এবং টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড পুনর্বহাল করতে হবে।
অন্যান্য পদের ন্যায় চালকদের পদোন্নতির ব্যবস্থা, বৈষম্যহীন গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) বাতিল করতে হবে। সরকারি চাকরিতে নিয়োগ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে চালকদের ছেলে-মেয়েদের জন্য পোষ্য কোটা চালু করতে হবে।
ইবাংলা/ বা এ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.