ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতা বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের (২য় পর্যায়) উদ্বোধনে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এই কোর্সের আওতায় দুই দিনব্যাপী প্রতি ব্যাচে ৩০০ জন করে ৭ টি ব্যাচে মোট ২,১০০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
বুধবার (অক্টোবর) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতা বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের ২য় পর্যা্য়ে উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জনাব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এ সময় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, যানজট বাংলাদেশের একটি অন্যতম সমস্যা। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর তিনদিন দেশে সরকার ছিল না । ঠিক সেই সময় সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে। যানজট নিরসনে ছাত্ররাই প্রথম ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। কোন প্রশিক্ষণ না থাকা সত্ত্বেও তরুণ ছাত্র-যুবরা দিন-রাত সড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নিরলসভাবে কাজ করেন।
উপদেষ্টা আরো বলেন, দেশ পুনর্গঠনে তরুণদের দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একটি আধুনিক সুন্দর দেশ গড়তে চাই।এজন্য ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সকলকে সচেতন হতে হবে। ট্রাফিক আইন বিষয়ে সকলের মাঝে সামাজিক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে ম্যানুয়াল পদ্ধতি থেকে আধুনিকায়নে উত্তরণ ঘটাতে হবে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মকছুদ জাহেদী বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্রদের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল; যার সুফল আমরা পেয়েছি। মাননীয় উপদেষ্টার দিক-নির্দেশনা এবং সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ড. গাজী মো: সাইফুজ্জামান।
ইবাংলা/ আইএইচ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.