ইসরায়েলি হামলায় লেবাননের এক পৌর মেয়রসহ নিহত ৬

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অপ্রতিরোদ্ধ দখলদার ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের অন্যতম প্রধান শহর নাবাতিহের পৌর ভবনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। এতে শহরটির মেয়রসহ অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। লেবাননে ইসরায়েলি হামলার বিরোধিতার কথা যুক্তরাষ্ট্র জানানোর কয়েকঘণ্টা পরেই এই হামলা হলো।

আরও পড়ুন...

নিখোঁজের ১০ দিন পর খালে মিলল বেদের মরদেহ

দুটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার (১৬ অক্টোবর) নাবাতিহে পৌর ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে মেয়র আহমেদ কাহিলসহ কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে যে তারা নাবাতিহ এলাকায় হিজবুল্লাহর কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে ভূগর্ভস্থ অবকাঠামো ভেঙে দিয়েছে। এই হামলায় ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে নৌবাহিনীর সদস্যরাও যোগ দেন। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, স্থলভাগে সৈন্যদের সহযোগিতায় দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর কয়েক ডজন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে নৌবাহিনী।

এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে আঘাত করে ইসরায়েল। রয়টার্সকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, তারা অন্তত দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। পাশাপাশি দুটি পৃথক এলাকা থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী বের হতে দেখেছেন তারা।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সাম্প্রতিক সময়ে বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলি এবং হিজবুল্লাহর ঘাঁটিগুলোতে আগাম সতর্কতা ছাড়াই বিস্তৃতভাবে হামলা চালিয়েছে। এর আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা দক্ষিণ বৈরুতের শহরতলী দাহিয়েহের ভূগর্ভস্থ একটি হিজবুল্লাহর অস্ত্রের মজুদের উপর হামলা চালিয়েছে। তাদের দাবি, “হামলার আগে, এলাকার সাধারণ নাগরিকদের আগাম সতর্ক করা হয়েছিল। এছাড়া বেসামরিক মানুষের ক্ষতির ঝুঁকি কমানোর জন্যও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।”

নাবাতিহ শহরে এই নৃশংস ইসরায়েলি হামলার নিন্দা করেছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি। তিনি বলেছেন, “ইচ্ছাকৃতভাবে মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলের একটি সভাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে ইসরায়েল”। তার কথায়, “এই নতুন আগ্রাসন, বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের শত্রুদের সংঘটিত অন্যসব অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হলো। ইচ্ছাকৃতভাবে দখলদারিত্বের অপরাধ সম্পর্কে বিশ্ববাসীর নীরব অবস্থান ইসরায়েলর সীমালঙ্ঘন এবং অপরাধ অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করে।”

এদিকে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। লেবাননের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকার রিয়াকে পাঁচজন, দক্ষিণে স্রেব্বাইনে পাঁচজন এবং টুলাইনে তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া দক্ষিণে টায়ারের কাছে কানাতে একের পর এক হামলায় একজন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। আর বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্তৃপক্ষ বলছে, দক্ষিণের মাজরাআত মেশরেফে চারজন নিহত হয়েছেন।

ইবাংলা/ আইএইচ আন্ত

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us