বর্তমান সরকারের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় সরকারের সমালোচনা করেছে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি। তাদের অভিযোগ, সরকার পরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের মানবিক মূল্যবোধ এবং ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও ঘটনাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফয়েড ফেসবুক আইডিতে এসব কথা উল্লেখ করে লিখিতি বক্তব্য আকারে একটি বিবৃতি প্রদান করে।
বিবৃতিতে আরো বলেন, “বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে নির্মূল করতে রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার করছে।” তারা উদাহরণ হিসেবে গণগ্রেফতার ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন। বিশেষ করে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষজনকে শত্রুজ্ঞান করার অভিযোগে জনরোষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ নিয়ে মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, অনেকেই বলছেন, ‘আমাদের দিন কী সুন্দর ছিল’। এ অবস্থা দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করছে। বক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, এই পরিস্থিতি একটি সু-শাসিত সমাজ গঠনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।d
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অস্বীকার করার চেষ্টার অংশ হিসেবে সরকার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক দিবস, ১৭ই মার্চের শিশু দিবস এবং ১৫ই আগস্টের শোক দিবসের মতো জাতীয় দিবসগুলোকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাদ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। বক্তারা এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “এসব দিবসের তাৎপর্যকে কোনো অবস্থাতেই অস্বীকার করা যাবে না। জাতির ইতিহাসের সঙ্গে এধরণের অবমাননা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।”
সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বক্তারা দাবি করেন, “রিসেট বাটন চেপে জাতির ইতিহাসকে মুছে ফেলার মাধ্যমে বিভেদ ও প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তির রাজনীতিকে পরিপুষ্ট করতে চাওয়া হচ্ছে, যা বাঙালি জাতি ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করছে।” তারা দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন, “মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে এই হীন পদক্ষেপের উপযুক্ত জবাব দেবে।”
সর্বশেষ সবাইকে আহ্বান জানান, সত্য বলুন, সঠিক পথে চলুন। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক বিভাজন ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে প্রতিহত করা যাবে বলে তারা আশাবাদী। এই আন্দোলন শুধু দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনাই রক্ষা করবে না, জাতির ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতেও সাহায্য করবে।
এই সকল বিষয়গুলি নিয়ে সচেতন জনগণ, রাজনৈতিক দল, এবং সামাজিক সংগঠনগুলো একযোগে কাজ করতে উৎসাহিত করছেন, যাতে দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি সুরক্ষিত থাকে এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক চেতনাকে প্রজন্মের পর প্রজন্মে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়।
আওয়ামী লীগের বিবৃতি দেখতে ক্লিক করুন
ইবাংলা / এ.এস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.