শীর্ষ সন্ত্রাসী রনি মাঝি গ্রেফতার, ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শীর্ষ সন্ত্রাসী রনি মাঝিকে গ্রেফতার করেছে নড়িয়া থানার পুলিশ। রোববার বেলা ১২টায় তাকে নড়িয়া থানার ঘড়িষার পাগলার মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ি নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষার লাউলানি গ্রামে। পুলিশ ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরন করেছে।
আরও পড়ুর…বিকট শব্দে আছড়ে পড়ল ড্রোন ইজতেমা ময়দানে,আহত শতাধিক
নড়িয়া থানা পুলিশের সাব ইনসপেক্টর মোঃ খায়রুল জানান, নড়িয়া উপজেলা শীর্ষ সন্ত্রাসী রনি মাঝিকে রোববার বেলা ১২টায় নড়িয়া থানার ঘড়িষার পাগলার মোড় এলাকা থেকে একটি চাদাবাজি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। যার মামলা নং ২০ তারিখ ১৫ জানুয়ারী /২৫ ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩৮৫/৩৮৬/৩৩৬/৩৭৯/৫০৬/৩৪ দঃবিঃ। তার বিরুদ্ধে এ মামলা ছাড়া ও ব্যবসায়ীদের ধরে এনে আটকে রেখে চাদা দাবী, শারিরীক নির্যাতন, জমি জবরদখল, জুলুম নির্যাতন ও বেআইনী অস্ত্র রাখার অভিযোগ রয়েছে।এলাকার মানুষ তার কাছে জিম্মি। ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারেনা।
মামলা করলে তাদের উপর নির্যাতন চালায়। মামলা তুলে নিতে বাধ্য করে। তার বিরেুদ্ধে ঘড়িসার মডার্ণ সিটির অফিস জবরদখল করে ঐ জমির কমপক্ষে শতাধিক ফলের গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ। ঘড়িসার পাগলার মোড় এলাকার ইতালী প্রবাসী আলাউদ্দিন লাকুড়িয়ার ক্রয়কৃত জমিতে রনি মাঝি জবরদখল করে দোকান ঘর নির্মান করেছে। নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর কে মারধর করে তার ছেলেকে হাত পা ভেঙ্গে দেয়া ও অরন আহম্মেদ নামের এক ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে বৈদ্যুতিক শর্ট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী অরন আহম্মেদ এর মা রিনা আহম্মেদ বলেন, আমার ছেলে অরন আহম্মেদ দীর্ঘদিন যাবত ঘড়িসার বাজরে ব্যবসা করে আসছে। রনি মাঝি দোকানে চাঁদা চায়। চাঁদা না দেয়ায় দোকানের তালা ভেঙ্গে প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করার পর আমার ছেলে অরন আহম্মেদ কে ধরে নিয়ে রডদিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ১লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকার জন্য তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে বৈদ্যুতিক শর্ট দিয়ে পুড়ে ফেলে। বর্তমানে সে অসুস্থ্য শরীর নিয়ে জীবনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা মামলা করতে ভয় পাই।
নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর বলেন, গত ৭ নভেম্বর আমি ও আমার ছেলে বিএনপির একটি মিছিলের বহরে যাওয়ার পথিমধ্যে নড়িয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসী রনি মাঝি ও তার সহযোগীরা হামলা করে আমাকে ও আমার ছেলেকে গুরুতর আহত করে। তারা আমার ছেলে জাহিদ এর পা ভেঙ্গে দেয়। এ ঘটনায় আমি মামলা করছি। আমি বিচার চাই।
আরও পড়ুন…পানিতে ডুবে ৩ স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ঘড়িসার ডেভেলপার মডার্ন সিটির পরিচালক নাজির হোসেন খান বলেন, ঘড়িসার এলাকায় আমাদের মর্ডান সিটি প্রকল্পের অফিস রনি মাঝি দখল করে নিয়ে অফিসে থাকা মালামাল ও কাগজপত্র নিয়ে গেছে। এরপর ঐ প্রকল্পে থাকা গাছপালা রাতের আধারে আগুন দিয়ে পুড়ে ধবংস করেছে। আমাদের অফিসর মধ্যে প্রতিদিন রাতের বেলা মাদক সেবন করে নারীদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ করে যাচ্ছে। আমরা ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছি না। প্রশাসনের কাছে সহায়তা চেয়েছি। প্রশাসন তাকে গ্রেফতার করেছে।
শরীয়তপুর পুলিশ সুপার মোঃ নজরুল ইসলাম পিপিএম (সেবা ) বলেন, নড়িয়া উপজেলার ঘড়িসার এলাকার ”রনি মাঝি” দখলবাজ,অত্যাচার ও নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ আছে। জনশ্রæতি আছে তার কাছে বেআইনী অস্ত্র আছে।আমাদের গোয়েন্দা সূত্রে তার অপকর্মের বিষয়ে শুনেছি। তাকে নড়িয়া থানার একটি চাদাবাজি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইবাংলা/ বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.